অদম্য আদৃতা ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন
নাটোরের লালপুর উপজেলার আদৃতা ইসলাম ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ছিলেন মনোযোগী। পরিবারিক আর্থিক অনটন ছিলো নিত্যসঙ্গী; কিন্তু পড়াশোনার পথ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি অদম্য আদৃতা। অপরাজেয় মনোভাবের কারনে শত বাধা পেরিয়ে এ বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
আদৃতা ইসলামের বাবা সফিকুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর। নিজের বলতে বসতভিটা ছাড়া আর কোন জমি নেই। কঠোর পরিশ্রম করেন সফিকুল ইসলাম কিন্তু পরিবারের অভাব দূর হয়না।
আদৃতা ইসলাম ২০২১ সালে লালপুর পাইলট গার্লস হাইস্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভালো ফল করা সত্ত্বেও আর্থিক অসঙ্গতির কারনে কলেজে পড়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ভালো ফলাফল বিবেচনায় আদৃতা ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত হন।
এ প্রসঙ্গে আদৃতা ইসলাম বলেন, আমি ঢাকার ইনজিনিয়ারিং ইউনিভারসিটি স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পড়েছি। ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি না পেলে আমি ঢাকায় থেকে পড়ালেখা করতে পারতাম না। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আমি অর্থনীতি বিষয় উচ্চতর পড়াশোনা করতে চাই।
উল্লেখ্য, আদৃতা ইসলামের বড় দুই বোন সাদিয়া ইসলাম ও নাদিয়া ইসলামও পড়লেখা করছেন। সাদিয়া ইসলাম চার্টার্ড অ্যাকান্ট্যান্সি পড়ছেন আর এক বোন নাদিয়া ইসলামও এবছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।