এনএসডিএর সহকারী পরিচালক হলেন অদম্য সত্যজিৎ

'ব্র্যাক ব্যাংক- প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী’ তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত সত্যজিৎ চন্দ্র রায়।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর কালীবাড়ী গ্রামের অদম্য মেধাবী সত্যজিৎ চন্দ্র রায়। ছোট থেকে নানা প্রতিকূলতা দেখেছেন তিনি। সাহস নিয়ে প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছেন এবং সফলও হয়েছেন।

এই সফলতার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (এনএসডিএ) সহকারী পরিচালক পদে যোগদানের নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন সত্যজিৎ। তিনি আগামী ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখ এই পদে যোগদান করবেন। বর্তমানে তিনি নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অধীন ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের সহকারী পরিচালক (অপারেশন) পদে কর্মরত।

যত দূর এসেছি, আরও যত দূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখি— এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। তাই এখানেই শেষ নয়, সবার আশীর্বাদ নিয়ে যেতে চাই অনেক দূর... ।

উল্লেখ্য, সত্যজিৎ রায় 'ব্র্যাক ব্যাংক- প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী’ তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেন। পরে উচ্চমাধ্যমিকেও জিপিএ-৫ পান। সফলতা ধরে রাখার জন্য পুনরায় তাঁকে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি প্রকল্পে যুক্ত করা হয়। এরপর আর দুশ্চিন্তা করতে হয়নি তাঁকে। ভালোভাবে পড়াশোনা করে ভর্তির সুযোগ অর্জন করেন রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে। সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরিতে যোগদান করেন। হাল ধরেন পরিবারের।

'ব্র্যাক ব্যাংক- প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী’ তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত সত্যজিৎ চন্দ্র রায়।

সত্যজিৎ রায়ের বাবা মুড়ির ব্যবসা করতেন। মা গৃহিণী ছিলেন। মুড়ি বিক্রির আয়ে সংসার চালানো কঠিন ছিল। এর মধ্যে তিন ভাইয়ের পড়াশোনা। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে প্রথম ছিলেন সত্যজিৎ। এই ভালো ফল করার পেছনে ছিল তাঁর বাবার কঠোর পরিশ্রম, শিক্ষকদের সাহায্য-সহযোগিতা ও তাঁর নিজের অধ্যাবসায়। তাঁর বাবা নিরক্ষর হওয়ার পরও পড়াশোনার প্রতি তিনি সজাগ ছিলেন, সব সময় খোঁজ রাখতেন। সত্যজিৎ বলেন, ‘বাবার পরিশ্রম ও আগ্রহ আমাকে সব সময়ে ভাবাত। অবশ্যই ভালো কিছু করতে হবে, ঘামের মূল্য দিতে হবে।’

সত্যজিৎ আরও বলেন, ‘আমি 'ব্র্যাক ব্যাংক- প্রথম আলো ট্রাস্ট’—এর একজন সাবেক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী। আমি এই ট্রাস্টের সহায়তায় এসএসসি-২০১০ সালে, এইচএসসি-২০১২ সালে এবং ২০১৭ সালে বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং) সম্পন্ন করি। যত দূর এসেছি, আরও যত দূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখি— এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। তাই এখানেই শেষ নয়, সবার আশীর্বাদ নিয়ে যেতে চাই অনেক দূর... ।