সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী সুজন কুমার ভাদুড়ী আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিনে (ইউডিসি) পিএইচডি গবেষণার জন্য মনোনীত হয়েছেন। সম্মানজনক এ ডিগ্রিতে গবেষণার জন্য মনোনীত হওয়ায় সুজনের পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আনন্দিত।
সুজন কুমার ভাদুড়ী বলেন, ‘পিএইচডি গবেষণার জন্য মর্যাদাপূর্ণ মেরি স্ক্লোডোস্কা কুরি ডক্টরাল ফেলোশিপ (MSCA ডক্টরাল নেটওয়ার্ক "RootEd") আমি নির্বাচিত হয়েছি, এটা আমার জন্য পরম আনন্দের ও সম্মানের। এটি ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন এবং অরিজিন এন্টারপ্রাইজ পিএলসি, আয়ারল্যান্ডের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক প্রকল্প যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন হরাইজন ইউরোপ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম দ্বারা অর্থায়িত।’
সুজন কুমার ভাদুড়ী এর আগে ‘ইরাসমাস মুন্ডুস’ বৃত্তি পেয়ে ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ হেলসিংকি, জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বন, এবং ফ্রান্সের ইউনিলাসেল থেকে প্ল্যান্ট ব্রিডিংয়ে স্নাতকোত্তর (এমপ্ল্যান্ট) সম্পন্ন করেন।
সুজন তাঁর ফেসবুক পেজে জানান, ইরাসমাস মুন্ডুস থেকে মেরিকুরি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম পর্যন্ত একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা আমার জীবন পাল্টে দেবে। ইউরোপীয় কমিশনের অর্থায়নে আয়ারল্যান্ডের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিনে আমার পিএইচডি (ডক্টর অব ফিলোসফি) চালিয়ে যাওয়ার অসাধারণ সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি সর্বশক্তিমানের কাছে কৃতজ্ঞ। এর মাধ্যমে আমি আরও অধিকতর গবেষণায় মনোনিবেশ করতে পারব এবং নতুন কিছু করা চেষ্টা করব।
সুজনের বাবা উপজেলার হাটপাঙ্গাসী এলাকার বাসিন্দা বাবলু কুমার ভাদুড়ী বলেন, ছেলে আমার ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় খুব ভালো। ব্যতিক্রমী কিছু করার ইচ্ছে ছিল তার। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তি পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভালো ফলাফল করে। পরবর্তীতে দিনাজপুর হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সময়ও প্রথম আলো ছেলের পাশে ছিল। এ জন্য তিনি ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান।
মাধ্যমিক পর্যায়ে সুজন পড়াশোনা করেছেন পাঙ্গাসী লায়লা-মিজান স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার সেন বলেন, অনেক ভালো ছাত্রছাত্রীর সফলতা অর্জনের বিষয় জানি কিন্তু সুজনের বিষয়টি ছিল ভিন্ন। তার এমন অর্জন অদম্য মেধাবীদের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।