অদম্য শাহারিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন

অদম্য মেধাবী শাহারিয়ার সোহান

আর্থিক অনটনের কারনে সপ্তম শ্রেণিতেই বন্ধ হয়ে যায় ছোটবোনের পড়ালেখা। এসএসসিতে জিপিএ–৫ পাওয়ার পরও কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। কিন্তু সব প্রতিকূলতাকে সাঙ্গ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন অদম্য মেধাবী শাহারিয়ার সোহান।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পরমান্দপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহারিয়ার ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। ভালো ফলের ধারাবাহিকতা বাজায় থাকে এইচএসসিতেও। ২০২৩ সালে সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজ থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে শাহরিয়ার। এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটে তার অবস্থান ২৫৮তম।

শাহারিয়ার সোহান বলেন, ‘আমাদের নিজেদের বসতভিটা নেই। চাচার জমিতে বাড়ি করে আমরা দিনাতিপাত করছি। এসএসসিতে ভালো ফল করার পরও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল । এসময় ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পাই। এই বৃত্তি না পেলে আমি এই পর্যন্ত আসতে পারতাম না।’

শাহারিয়ার সোহানের বাবা মিলন মন্ডল পেশায় দিনমজুর। অন্যের জমিতে সকাল–সন্ধ্যা পরিশ্রম করে পরিবারের অন্নের সংস্থান করতে পারলেও সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। অর্থের অভাবে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সোনালীর পড়ালেখা বন্ধ করে দেন তিনি।  বড় ছেলে শাহারিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছেন। মিলন মন্ডল  স্বপ্ন দেখেন ছেলে পড়লেখা শেষ করে পরিবারের দায়িত্ব নেবে।  

 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শাহারিয়ার সোহান ভবিষ্যতে সরকারি চাকুরি করে পরিবারের হাল ধরতে চান।

উল্লেখ্য, শাহারিয়ার সোহানের স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।