রিফাত শেখ ছোটবেলা থেকেই দরিদ্রতার সঙ্গে সংগ্রাম করছেন। আর্থিক সংকটের কারণে কলেজে পড়া নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম ও জ্ঞান অর্জনের অদম্য ইচ্ছার কারণে রিফাত শেখ হয়েছেন সফল। সম্প্রতি তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে রসায়ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের রিফাত শেখের চলার পথটা ছিল বন্ধুর। কোনো দিন খাবার জুটেছে, কোনো দিন জোটেনি। কিন্তু মায়ের অনুপ্রেরণায় অব্যাহত রেখেছেন পড়ালেখা। গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে জিপিএ –৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন রিফাত। ভালো ফলের ধারাবাহিকতা বাজায় থাকে এইচএসসিতেও। ২০১৭ সালে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন রিফাত শেখ। এর পর ভর্তি পরীক্ষার বাধা পেরিয়ে ভর্তি হন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
রিফাত শেখ বলেন বলেন, ‘আমার ছোট দুই ভাইও পড়াশোনাতে ভালো। দুজনই এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে আমাদের প্রতিনিয়ত দুর্বিষহ সময় পার করতে হয়েছে। আমি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে “ব্র্যাক ব্যাংক–প্রথম আলো ট্রাস্ট” অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পাই। এই বৃত্তি না পেলে আমার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত। আমি বিশ্বাস করি ভালো মানুষ ও কঠোর পরিশ্রম করলে সব বাধা পেরোনো যায়। ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
রিফাত শেখের বাবা মঞ্জুরুল শেখ পেশায় দিনমজুর। তিনি সকাল–সন্ধ্যা পরিশ্রম করেন। কিন্তু পরিবারের অভাব দূর হয় না। মঞ্জুরুল শেখ স্বপ্ন দেখেন, ছেলে ভবিষ্যতে দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করবে।