নাটোর সদর উপজেলার উত্তর পটুয়াপাড়া গ্রামের ছেলে মো. নাঈমুর রহমান সজীব। ২০২২ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করেন। এ বছর (২০২৪) জুনে অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন। এ বছরও জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য ধরে রেখেছেন নাঈমুর। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের পরিচালক জাহিদা ইস্পাহানির সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় তাঁকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।
নাইমুরের এগিয়ে যাওয়ার পথ মসৃণ নয়। এসএসসির আগে বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করেছেন নাইমুর। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবা নাছির উদ্দিনের সঙ্গে সপ্তাহে পাঁচ দিন আদালত চত্বরে চা বিক্রি করেছেন। করোনার সময় আদালত বন্ধ থাকায় দোকানও বন্ধ ছিল। তখন বাবার রোজগার কমে যায়। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাদের। অনেক সময় দেখা গেছে একবেলা অনাহারে থাকতেও হয়েছে। তবে পড়াশোনা করে সময়টা কাজে লাগিয়েছেন নাঈমুর।
নাঈমুর জানান, বাবা এখন অসুস্থ। আগের মতো কাজ করতে পারেন না। বড় ভাই কোনোমতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে কোম্পানিতে একটা কাজ নিয়েছে। আর আমি প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তির টাকা জমিয়ে রেখে কোচিং ভর্তি হয়েছি। আমাকে ভালো কিছু করতেই হবে।
পরক্ষণেই নাঈমুর আরও বলেন, প্রথম আলো ট্রাস্টের সহায়তায় পড়াশোনা করা সহজ হয়েছে। সে জন্য ভালো ফল করতে পেরেছি। এখন রাজশাহীতে ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করছি। আমার ইচ্ছা প্রকৌশল বিভাগে পড়ার। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।