‘শিক্ষার পথ ধরেই পরিবারিক সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলবে’
দুই ভাই, মা-সহ তিন জনের পরিবার অদম্য জাকির হোসেনের। ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট, বড় ভাইও পড়াশোনা করছেন। বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুরে। খালা শাহনাজ পারভীন ও মামা লিয়াকত আলীর আর্থিক সহযোগিতায় জাকিরের পরিবার চলে। আর্থিক অসঙ্গতির কারনে শিক্ষাজীবনে বাধা এসেছে বারবার। তারপরও অদম্য জাকির পড়াশোনার পথেই রয়েছেন। অদম্য ইচ্ছা ও মনোবল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন তিনি।
জাকির হোসেন সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ভালো ফলাফল বিবেচনায় জাকির ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত হন। নিয়ামতপুর সরকারী কলেজ থেকে ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ–৫ পেয় উত্তীর্ণ হন জাকির। এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ জাকির বর্তমানে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন।
এ প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, ‘নিজেদের বলতে চারকাঠা কৃষি জমি ছাড়া আমাদের আর কোন সম্বল নেই। বাবার আর্থিক সঙ্গতি নেই। অনেক বধাবিপত্তি পেরিয়ে আমি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। যখনই আশাহত হই শুধু মায়ের কথাগুলো স্মরণ করি, আমার মা জাকেরা বেগম বলেন, শিক্ষা ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই। শিক্ষার পথ ধরেই পরিবারিক সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলবে। আমি মায়ের স্বপ্নপূরণের জন্য সংগ্রাম করছি।
পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যায়নরত জাকির হোসেন স্বপ্ন দেখে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স–মাস্টার্স সম্পন্ন করে দেশের বাইরে উচ্চতর পড়াশোনা করবেন।
উল্লেখ্য, জাকির হোসেনের স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।