বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হেঁটে প্রতিদিন কলেজে যাতায়াত করছেন ইয়াম লিখুজ। পরিবারে অভাব–অনটন লেগেই আছে। বসত ভিটা ছাড়া নিজেদের আর কোন জমি নেই। বাবার স্বল্প আয়ে কষ্ট করে পড়াশোনা করে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পাওয়া ইয়াম লিখুজ উচ্চশিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে চান।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীঘেঁষা উজিয়াল জুম্মাপাড়া গ্রামে ইয়াম লিখুজের বাড়ি। কাশিয়াবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায় সে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট লিখুজ। তিনজনই পড়াশোনা করে।
ইয়াম লিখুজের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিকের একার আয়ে পরিবারের ছয় সদস্যের সংসার ঠিকমতো চলে না। সহায়–সম্বল বলতে টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা দুটি পুরোনো ঘর। এ প্রসঙ্গে ইয়াম লিখুজ বলেন, ‘আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় রংপুর সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পড়াশোনা করতে পরি নি। বিজ্ঞান বিভাগ পরিবর্তন করে স্থানীয় ডাঙ্গীরহাট স্কুল ও কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হই। প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে শিক্ষাবৃত্তি পওয়ায় কলেজে পড়তে সমস্যা হয়নি। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে চাই।’
উল্লেখ্য, এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের পরিচালক জাহিদা ইস্পাহানির সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় কলেজ পর্যায়ে ইয়াম লিখুজকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।