ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে এইচএসসি পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন মোছা. মরিয়ম আখতার। শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে সাফল্যও ধরে রেখেছেন। রংপুরের লালদিঘী পীরপাল কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ বছর ২০২২-২৩ সেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান। সাফল্য ধরে রাখায় স্নাতক পর্যায়েও শিক্ষাবৃত্তি দেবে অদম্য মেধাবী তহবিল। অদম্য এই শিক্ষার্থীর বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর জুম্মাপাড়া গ্রামে।
মরিয়ম আক্তার পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে মেধা বৃত্তি পেয়েছিলেন। দশম শ্রেণিতে ভর্তির পরেই সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম তার বাবা মো: মোবারক হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যাওয়ায় টাকা অভাবে মরিয়মের পড়াশোনার পথ অনেকটা রুদ্ধ হয়ে পড়ে। মাসখানেক স্কুল যাওয়া বন্ধ থাকে। এর পরে আশে পাশে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন মরিয়ম। সেই টাকায় পড়াশোনার খরচ চালিয়ে ওই বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পান। উল্লেখ্য, মরিয়মের বাবা সম্প্রতি বাড়ি ফিরে এসেছেন।
দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মরিয়ম বড়। সংসারের অভাব অনটন দেখে মরিয়মের দাদা আমিনুর রহমান অল্পকিছু আবাদি জমি দিয়েছিলেন। ঐ জমি আবাদ করে জোড়াতালি দিয়ে চলছে তাঁদের সংসার। বদরগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর জুম্মাপাড়া গ্রামে মরিয়মদের বাড়ি। মা লতিফা বেগম গৃহিণী।
মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘আমি পড়তে পারব—এটাই অনিশ্চিত ছিল। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিলের শিক্ষাবৃত্তি আমার সেই অনিশ্চয়তা দূর করেছে। যার ফলে সামনে এগোতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। ভালোভাবে পড়াশোনা করে এ বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আমি একজন স্বনামধন্য ফার্মাসিস্ট হয়ে চাই। ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন।’