সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় বাড়ি অদম্য মেধাবী মোজাম্মেল হোসেনের। ছোটবেলা থেকেই অভাবের সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন। আর্থিক অসঙ্গতির কারনে তার বড় ভাই মোস্তফা সরদার পড়ালেখা করতে পারেননি। কিন্তু হার মানেননি মোজাম্মেল। কঠোর পরিশ্রম করে হয়েছেন সফল। সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তিনি ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী’ শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে এইচএসসি ও স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন।
মোজাম্মেল হোসেনের বাবা মকবুল সরদার পেশায় দিনমজুর। নিজের জমি নেই। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন খাস জমিতে। খরচ জোগাতে না পারায় বড় ছেলে পড়ালেখা করতে পরেননি। মোজাম্মেল হোসেন পড়ালেখা করেছেন নানা বাড়িতে থেকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ ছিল। কিন্তু পরিবারের সঙ্গতি ছিল না। নানা বাড়িতে থেকে স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছি। ভালো ফালাফল করায় ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী’ শিক্ষাবৃত্তি পাই। এই বৃত্তি আমার উচ্চশিক্ষার পথকে সুগোম করেছে। আর আমার মা মমতাজ বেগম, তিনি আমাকে আগলে রেখেছে, সবসময় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। তাঁর অবদান সব থেকে বেশি। আমি বিশ্বাস করি লক্ষ্য আর্জন করতে চাইলে সৎ থাকতে হবে।’
মোজাম্মেল হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার নাকিপুর সরকারি এইচ সি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে জিপিএ–৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভালো ফলাফল বিবেচনায় মোজাম্মেল হোসেনকে ‘ব্র্যাক ব্যাংক–প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন মোজাম্মেল।
সম্প্রতি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন মোজাম্মেল হোসেন। ভবিষ্যতে দেশের বিদ্যুত বিভাগে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ কারার স্বপ্ন দেখেন তিনি।