পরিবেশের উপকারী বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন অদম্য ঐশির

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভূরুলিয়া গ্রামের অজ-পাড়াগাঁয়ের অদম্য মেধাবী ঐশী মনজুর।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভূরুলিয়া গ্রামের অজ-পাড়াগাঁয়ের অদম্য মেধাবী ঐশী মনজুর। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে এইচএসসি পর্যায়ে পড়াশোনা করেন। বর্তমানে অনুরন-প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন বদরুন্নেসা মহিলা কলেজে। এসএসসির আগ পর্যন্ত দুই প্রতিবেশীর বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ আর অবসরে মায়ের দরজির কাজে সাহায্য করে লেখাপড়ার খরচ জোগাতেন। এভাবে দারিদ্র্য মোকাবিলা করে ২০২০ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পান তিনি।

ঐশি মনজুর বলেন, মেডিকেলে চান্স না পেয়ে প্রাণিবিদ্যাকে সাবজেক্ট চয়েস করি। প্রাণিবিদ্যা থেকে বিসিএস, ব্যাংকসহ যেকোনো জব সেক্টরে যাওয়া যায়। আমার ইচ্ছা, যেসব প্রাণী পরিবেশের উপকার করে, কিন্তু এখন বিলুপ্তির পথে; এদের নিয়ে কাজ করতে। প্রাণীবৈচিত্র্য পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। সাংবাদিকতার ওপরও আমার আগ্রহ আছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্টের চেষ্টা করছি।’

ঐশি মনজুরের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা। এ সময় অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন। গত ২৮ জুন কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ে।

স্বপ্নবাজ ঐশি জীবনে নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। তাঁদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পাশাপাশি তথ্য ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করা এবং একাডেমিক কাজে সহায়তার জন্য ২৮ জুন প্রথম আলো কার্যালয়ে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে। অনুরণের সহায়তায় বৃত্তি পাওয়া ৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে এই ল্যাপটপ। মহতী উদ্যোগে প্রথম আলো ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য অনুরণের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

ল্যাপটপ পেয়ে ঐশি অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘ল্যাপটপ পেয়ে আমার অনেক সুবিধা হলো। যেমন আমি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ায় আমাকে অনেক প্র্যাকটিক্যাল করতে হয়। ডিপার্টমেন্ট থেকে দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট এবং প্রেজেন্টেশনের কাজ করতে সুবিধা হবে এখন। বর্তমান শিক্ষার্থীরা তো পড়াশোনার পাশাপাশি আউটসোর্সিং করে। সে ক্ষেত্রে আমি ফ্রিল্যান্সিং বা গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ শিখে এটাকে পেশা হিসেবেও নিতে পারি। অনুরণ ও প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা।’