বাবার কাঠমিস্ত্রি কাজে সহযোগিতা করতেন অদম্য ইব্রাহিম

হার না মানা অদম্য মেধাবী ইব্রাহিম হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মিঠাখালী গ্রামে বাড়ি মো. ইব্রাহিম হোসেনের। বাবা কাঠমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন। বাবার সঙ্গে ঘর বাধার কাজে ইব্রাহিমও সহযোগিতা করতেন। এভাবেই কোনোমতে চলত মা-বাবা ও ৭ ভাইবোনের বড় সংসার। ২০১৯ সালে করোনা শুরুর আগে বাবা মারা যান তাঁর।

এমন প্রতিকূল পরিবেশ থাকার পরও ইব্রাহিম হোসেন পড়াশোনা ছাড়েননি। বরং অদম্য ইচ্ছা নিয়ে পড়াশোনা করে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। খবর এটা নয়, খবর হলো তিনিই প্রথম তাঁর স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন। এ জন্য পুরো স্কুলসহ কয়েক গ্রামের লোক তাঁকে চিনত। তাঁর এই অদম্য চেষ্টা ও ভালো ফলের খবর ছাপা হয় প্রথম আলোয়। দেওয়া হয় ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি। এই শিক্ষাবৃত্তি সহায়তায় তিনি এইচএসসি ও স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন।

বর্তমানে তিনি সরকারি খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে চাকরি করছেন।

ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ছোটবেলায় তেমন পড়াশোনা করতাম না। পড়াশোনার প্রতি আমার আগ্রহটা বেড়ে যায় মাধ্যমিক পর্যায়ে এসে। তবে সমস্যায় পড়ি যখন নবম শ্রেণিতে উঠি। কোন বিভাগ নিব সেটা নিয়ে। কারণ বিজ্ঞান বিভাগে অনেক খরচ। সত্যি কথা বলতে, একটা সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর কেনার সামর্থ্য ছিল না। আমার মনে আছে, একটা মুরগি বিক্রি করে এটা কিনেছিলাম।’

হার না মানা অদম্য মেধাবী ইব্রাহিম হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি সরকারি খুলনা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে চাকরি করছেন। ধরেছেন পরিবারের হাল।