গত ২৩ ও ২৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব।
প্রথম আলো ট্রাস্ট এর স্টলে দ্বিতীয়দিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অদম্যদের সাথে আমিও থাকার সুযোগ পেয়েছি। নতুন পুরনো অনেকের সাথে দেখা হলো,কথা হলো। সবাই বন্ধুসুলভ এবং পরস্পর সহযোগী মনোভাবাপন্ন ছিল। মেলায় প্রথম আলো ট্রাস্টের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন - অদম্য মেধাবী তহবিল , অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য সহায়ক তহবিল , মাদকবিরোধী আন্দোলন, অদ্বিতীয়া কার্যক্রম বিষয়ে দর্শনার্থীদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করা হয়। প্রথম আলো ট্রাস্টের স্টলে ছিল পিং পং কুইজ খেলার সুযোগ। টেবিল টেনিস ব্যাট দিয়ে ও বল লাফানোর এই খেলায় মাদক বিষয়ক ১৫টি প্রশ্ন করা হয়। সর্বোচ্চ উত্তরদাতাকে দেওয়া বই উপহার। এই দুই দিন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সেবাদানের পাশাপাশি আমরা নিজেদের মধ্যে সবটা আনন্দ ভাগ করে নিয়েছি। এই আয়োজন অদম্যদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল যা আমি বেশ উপভোগ করেছি। দ্বিতীয় দিনের দুইটি মনকাড়া ঘটনা পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।
একজন মা তার স্কুল পড়ুয়া ছেলের জন্য খুব আগ্রহ নিয়ে আমাদের খেলায় অংশগ্রহণ করেন। কারণ তার ছেলে বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসে। প্রযুক্তি আসক্তির এই যুগে কোনো মা তার সন্তানকে গল্পের বই পড়ায় অভ্যস্ত করেছেন এটি আমার মন ছুঁয়েছে।
আরেকজন মা তার মেয়ের বান্ধবীকে কোনোভাবে সাহায্য করা যায় কি না সেই প্রত্যাশায় আমাদের কাছে অদম্য মেধাবী বৃত্তি কর্মসূচী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ব্যাক্তিকেন্দ্রিক এই যুগে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এটি আমার খুব ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে সবার সাথে আনন্দদায়ক সময় কেটেছে।
দুইদিনব্যাপী প্রথম আলো আয়োজিত এই উৎসবে দেশের ৩৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইএমকে সেন্টার অংশ নিয়েছে। এতে স্টল ছিলো মোট ৪৫ টি। এ ছাড়া বিভিন্ন তথ্য ও সেবা নিয়ে ছিলো জিপিএইচ ইস্পাত, টিভিএস, প্রথমা, চরকি, ইউসিসি, প্রথম আলো ট্রাস্ট, রকমারি, এডভাইব, তেজগাঁও কলেজ , বন্ধুসভা ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টল। যেখানে আগ্রহী ছাত্র ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন। ছিল সেমিনারেরও আয়োজন যেখানে অভিজ্ঞ ব্যাক্তিরা নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রথম আলো ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যাবান মনে করি। কারণ অনেক বিশিষ্ট মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি যা আরো বড় স্বপ্ন দেখার সাহস যুগিয়েছে। পরিবার,সমাজ, দেশ তথা নিজের জন্য ভালো কিছু করতে চাওয়ার ইচ্ছা তীব্রতর হয়েছে। একজন সাধারণ ছাত্রীর পক্ষে গুণীজনদের সান্নিধ্য পাওয়া কখনোই সম্ভব হতো না যদি প্রথম আলো এই আয়োজন না করতো। স্বপ্ন দেখানো,সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করা এবং অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ প্রথম আলো।