ভালো ফল করে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন অদম্য শানু

ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অপরাজেয় তারা’ শিক্ষাবৃত্তি পান রায়গঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী মোছা. শানু খাতুন।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী মোছা. শানু খাতুন। এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সবার কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন তিনি। শানু রায়গঞ্জ উপজেলা সদর ধানগড়া মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগ এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর আগে এসএসসি পরীক্ষায়ও তিনি উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের চরপাড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পান।

শানুর বাবা মো. ছানোয়ার হোসেন অসুস্থ হওয়ার পর দফার দফায় অস্ত্রোপচারের করতে হয়েছে। অস্ত্রোপচারের টাকা জোগাতে জোগাতে অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে পড়ে পরিবার। তা ছাড়া চার ছেলেমেয়ের সবাই পড়াশোনা করছে। সাংসারিক টানাপোড়েন লেগেই থাকে। এর মধ্যেও শানু হাল ছাড়েন নি। অদম্য মনোবল নিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যান। যার ফল সে পেয়েছে দারুণভাবে।

গতকাল শনিবার মুঠোফোনে কথা হয় শানু খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তি পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ালেখা করেছি। খরচ নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। ভালো কলে পড়াশোনা করে

গতকাল শনিবার মুঠোফোনে কথা হয় শানু খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তি পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ালেখা করেছি। খরচ নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। ভালো করে পড়াশোনা করে আবারও ভালো ফল করতে পেরেছি। ফল প্রকাশ হয়েছে। এখন বাড়িতে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

 শানু খাতুনের মা মোছা. সেলিনা বেগম বলেন, প্রথম আলোর সহযোগিতায় মেয়েটার পড়ালেখা অনেক সহজ হয়েছে। ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে যেন ভর্তির সুযোগ পায় এমন দোয়া মেয়ের জন্য কামনা করেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রথম আলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন শানুর মা।

শানু সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের শৌলি সাবলা গ্রামের মো. ছানোয়ার হোসেন ও মোছা. সেলিনা বেগম দম্পতির চার ছেলেমেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। উপজেলার চরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায় শানু। ভালো ফলাফল বিবেচনায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অপরাজেয় তারা’ শিক্ষাবৃত্তি পান তিনি। এই বৃত্তি পেয়ে এইচএসসিতেও সাফল্য ধরে রাখলেন তিনি।