খুশি এখন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক

কুড়িগ্রামের গসতিপাড়া গ্রামে হিঙরার মেয়ে খুশি খাতুন। বাবা পেশায় ছিলেন ভ্যান চালক। তন ভাই বোনের সংসারে খুশি ছিলেন মেজো সন্তান। বড় ভাই বেশি দূর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে না পারলেও খুশি খাতুন ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। ২০০৮ সালে কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন খুশি। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা করেন। সকলের আশা পূর্ণ করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। তাঁকে পুনরায় স্নাতক পর্যায়েরও শিক্ষাবৃত্তি দেয় এই তহবিল থেকে।

স্নাতক পর্যায়েও ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তির পাওয়ার পর আর থেমে থাকতে হয়নি খুশিকে। শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্কুল ও কলেজ দুই পর্যায়েই শিক্ষক হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজমাল্লীরহাট সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার কলেজ পর্যায়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন।

খুশি জানান, বাবা মায়ের বয়স হয়ে গেছে। আর ভাইবোনেরা সংসারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। খুশির বড় ভাই একটি নিজের ওয়ার্কশপ দিয়েছেন আর ছোট ভাই ঢাকায় একটি চাকরি করছেন। ব্যবসায়ী স্বামী আর ৯ বছরের সন্তানকে নিয়ে এখন খুশি বেশ আনন্দেই দিন কাটাচ্ছেন।

প্রথম আলো ট্রাস্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে খুশি খাতুন বলেন, 'প্রথম আলো ট্রাস্ট না থাকলে আজকে আমার এই পর্যন্ত আসা হতো না। সকল অদম্য মেধাবীদের পক্ষ থেকেই ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের জীবনে প্রথম আলো ট্রাস্ট আলোর দিশা নিয়ে এসেছে। আমি চাই প্রথম আলো ট্রাস্ট যেন সব সময়ে অদম্য মেধাবীদের পাশে থাকে।'