চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার আজাইপুর গ্রামের ছেলে মো. আব্দুল কাদের। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে আব্দুল কাদের সবার বড়। দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। সবার ছোট বোন পড়াশোনা করছে। বসতভিটা ছাড়া কোন জায়গা জমি নেই তাদের। বাবা রাজমিস্ত্রি কাজ করে সংসার চালাতেন। টানাপোড়েনের সংসারে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন ছিল। তারপরও থেকে যাননি কাদের। মনোবল নিয়ে এগিয়ে গেছেন।
পড়াশোনার প্রতি অদম্য ইচ্ছা ও তার পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তি পেয়ে এইচএসসি ও স্নাতক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর (টেক) ইলেকট্রনিকস হিসেবে কর্মরত।
অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে সফলতা আসবেই, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো অদম্য আব্দুল কাদের। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তাঁর বাবা মারা যান। বাবার অবর্তমানে পুরো সংসারের দায়িত্ব কাদেরের কাঁধেই। তারপরও তিনি সব সময় তাঁর লক্ষ্যে স্থির ছিলেন। চাকরি করেছেন, পাশাপাশি পড়াশোনা অব্যাহত রেখেছেন। সেই ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। তিনি ৪১ তম বিসিএসে (পরিবার পরিকল্পনা) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।এখন চূড়ান্ত গেজেটের অপেক্ষায় আছেন। তাঁর এই সফলতায় প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানাই।
অন্যান্য অদম্যদের উদ্দেশ্যে আব্দুল কাদের বলেন, ‘সব সময় নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। মনে রাখবে, তোমার এগিয়ে আসা মানে প্রতিটি পরিবার এগিয়ে আসা। তোমরা ভালো কিছু কর এই প্রত্যাশা করি। আমার জন্যও দোয়া করবে, যেন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি।’