ব্র্যাক ব্যাংক–প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোভা রানী প্রথম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি বিতর্ক করতে ভালোবাসেন শোভা। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আমি এই পর্যায়ে এসেছি। এখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। পড়াশুনা ভালোভাবে শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। আর চাই সমাজের মানুষের জন্য কিছু করতে। সমাজিক দায়বদ্ধতাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।’
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মধ্যপাড়া এলাকার প্রতিমা রানী দাসের একমাত্র সন্তান শোভা রানী। জন্মের পাঁচ–ছয় মাস আগেই বাবা বুলু চন্দ্র লোদকে হারান। সেই থেকে শোভাকে নিয়ে মায়ের সংগ্রাম শুরু। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে শোভা রানী এইচএসসি পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন। এইচএসসিতেও কৃতিত্ব ধরে রাখার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে তাঁকে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত করে। বৃত্তি সহায়তা পেয়ে নিশ্চিন্তে ভর্তি প্রস্তুতি নেন শোভা। পরে বুয়েটের প্রকাশিত ফলাফলে মেধাতালিকায় ৭২২তম হয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।