‘অসীম কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর শাকিল তার বাবাকে নিয়ে যায় দেখানোর জন্য।

প্রথম আলো ট্রাস্টের যে কটি প্রধান কর্মসূচি রয়েছে, তার মধ্যে অদম্য মেধাবী তহবিল একটি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সুবিধাবঞ্চিত যে শিক্ষার্থীরা জীবনসংগ্রামের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেন, সেই সকল অদম্য মেধাবীদের দেওয়া হয় শিক্ষাবৃত্তি। এই শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তদের একজন হলো ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার শাকিল আহমেদ। শাকিল ২০১৯ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়। পরে এইচএসসিতেও সাফল্য ধরে রেখে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাবৃত্তি পায় এই তহবিল থেকে। শাকিল এ বার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তার এই পুরো জার্নি নিয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেয় শাকিল। তার এই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরছি।

২০১৯ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয় শাকিল। সংবর্ধনায় এসে তোলা ছবি।

‘অ্যাডমিশন জার্নিটা এতটা সহজ ছিল না। সেই মেডিকেল থেকে শুরু, সেখানে অল্পের জন্য চান্সটা ছিটকে গেলে প্রায় ভেঙেই পড়েছিলাম মানসিকভাবে। এরপর আবার ভাবলাম, থেমে থাকলে হবে না। যেকোনো একটা পূর্ণাঙ্গ ইউনিভার্সিটিতে আমার একটা আইডেনটিটি তৈরি করতে হবে। তারপর শুরু হলো ভার্সিটি অ্যাডমিশন যুদ্ধ। আল্লাহর রহমতে বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটিতে ভালো মার্কস ক্যারি করি। সবশেষে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং বিভাগে অ্যাডমিট হলাম। এই অ্যাডমিশন জার্নিটাতে বাবা-মার অক্লান্ত পরিশ্রম ছিল। সন্তানের জীবনকে কিভাবে সর্বক্ষেত্রে সাফল্যমণ্ডিত করা যায়, তাঁদের সেই ঘাম ঝরানো পরিশ্রম হয়তো সবারই জানা।’

‘প্রথম আলোর কথা না বললেই নয়। এইচএসসির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা পাশে ছিল, এখনও আছে। এ রকম হাজারো স্টুডেন্টের স্বপ্ন জয়ে তারা দুর্বার গতিতে এগিয়ে এসেছে তাদের পাশে। তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি। সর্বশেষ সবার কাছে দোয়া চাই, জীবনে যেন ভালো একজন মানুষ হয়ে দেশ ও দশের সেবা করতে পারি।’