ঈদুল আজহায় অন্য রকম আনন্দে মেতেছেন অদম্য সাব্বির হোসেন

অদম্য মেধাবী সাব্বির হোসেন।

সাব্বির হোসেন ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কারনে তার কলেজে পড়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অব্যাহত রেখেছেন পড়াশোনা। ২০২৩–২০২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এই খুশিতে এবারের ঈদে অন্যরকম আনন্দে মেতেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সাব্বির হোসেন বলেন, ‘ এবারের ঈদে সব থেকে বেশি মজা করেছি। বন্ধুদের নিয়ে সারাদিন আড্ডা ও খুনসুটিতে মেতে ছিলাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব আমার বাবার এই ছিল স্বপ্ন । সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানাই। এই দুই প্রতিষ্ঠান পাশে না থাকলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না।’

সাব্বির হোসেনের বাবা মজিবর রহমান পেশায় দিনমজুর। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইমাইলপুরে বাড়ি তার। গ্রামে সারাবছর কাজ না থাকায় তার পক্ষে সংসারের ব্যয় নির্বাহ প্রায়ই সম্ভব হয় না।

২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জোবাইদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন সাব্বির। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারনে কলেজে পড়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। সেই সময় ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পায় সাব্বির।

২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শ্যামনগর সরকারি মহসীন ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ–৫ পান সাব্বির। ২০২৩–২৪ সালের সমন্বিত গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাব্বির হোসেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।  

উল্লেখ্য,সাব্বির হোসেনের স্বপ্ন পূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।