উল্লাস দাস। ২০২১ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিলের শিক্ষাবৃত্তি পান। বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করে ২০২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন। ফল প্রকাশিত হয় ২৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র উল্লাস দাস উপজেলার সরকারি বেগম নূরুণনাহার তর্কবাগীশ কলেজ থেকে জিপিএ-৪.৫ পেয়ে পাস করেন। ফল আশানুরূপ না হওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নিয়ে একটু শঙ্কায় ছিলেন তিনি। ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকেন। শেষে এ বছরের ১৪ জানুয়ারি গণিত বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
উল্লাস দাস উপজেলার ঘুড়কা ইউনিয়নের ঘুড়কা দাস পাড়ার অশোক চন্দ্র দাস ও শুকলা রানী দাস দম্পতির বড় ছেলে। বাবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মা গৃহিণী। ছোটবেলা থেকে পড়ালেখায় বেশ ভালো উল্লাস। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হলেও পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে ভর্তি হতে হয় স্থানীয় কলেজে। তার কথা প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়। অদম্য মেধাবী উল্লাস দাসকে প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অবশেষে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। বাবা ও মায়ের পরিবারে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছি আমি। প্রথম আলো ট্রাস্ট আমার পাশে ছিল বলে এত দূর আসা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনেও প্রথম আলো ট্রাস্ট আমার পাশে থাকবে বলে আশাবাদ আমার।’
উল্লাসের ছোট ভাই উজ্জ্বল দাস রায়গঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
তাঁর বাবা বলেন, ‘ছেলের পড়ালেখার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট অনেক উপকার করেছে। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
উল্লাস দাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হলো। এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। ভালো করে পড়ালেখা করে দুই পরিবারসহ সবার মুখ উজ্জ্বল করব—এটাই আমার ব্রত। আমার প্রতি সবার আশীর্বাদ রাখবেন।’