মায়ের স্বপ্নপূরণ করতে চান অদম্য তাসনিম আহম্মেদ

তাসনিম আহম্মেদ।

তাসনিম আহম্মেদের বাবা হেমায়েত উদ্দিন একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আয়রোজগারও ভালো ছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর রোজগার কমতে থাকে। আর্থিক সংকটে পড়ে তাসনিমের পরিবার। সেই সময় তাসনিমের মা ফারহানা হক টিউশনি করে  সংসারের হাল ধরেন। পড়ালেখার খরচ মেটাতে একসময় তাসনিমও টিউশনি শুরু করেন। অদম্য মনোভাব ও কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন তিনি। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছে তাসনিম।

তাসনিমের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায়। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে সে। কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার অংশ নিয়ে জিপিএ–৫ পায় তাসনিম। সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। চলতি বছর ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ–৫ পেয়েছে তাসনিম। ভালো ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এতটা পথ আসতে পেরেছি আমার মায়ের কারনে। ছোটবেলা থেকেই মা আমাকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। যত্ন করে পড়িয়েছেনে। খারাপ সময়ে আগলে রেখেছেন। আমি মায়ের স্বপ্নপূরণ করতে চাই। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও সেবাখাতের জনভোগান্তি নিরসনে কাজ করবো।’

উল্লেখ্য, ভালো ফলাফল বিবেচনায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় বার্জার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরীর সহযোগিতায় শিক্ষাবৃত্তি পান তাসনিম আহম্মেদ।