‘জীবনে সফল হতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে’
বগুড়ার অদম্য মেধাবী রুবাইয়া ইয়াসমিন। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় ভাইয়ের মত সেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। কিন্তু বাদ সাধে পরিবারের অসচ্ছলতা। বাবা, গোলাম রব্বানী সরকার কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। সন্তানদের পড়ালেখার খরচ জোগাতে একে একে সব জমি বন্ধক রাখেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, তাঁর ছেলেমেয়েরা একদিন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে। বাবার মুখে হাসি ফুটিয়েছেন রুবাইয়া। তিনি সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রুাবাইয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘আমার বড় বোন পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি। কিন্তু বড় ভাই আরিফুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে কৃতিত্বের সঙ্গে পড়ালেখা শেষ করে বর্তমানে একটি সরকারি কলেজে পড়াচ্ছেন। আমার বাবা–মা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাঁদের কারণেই আমরা দুই ভাইবোন পড়ালেখা শেষ করতে পেরেছি। আমি কৃতজ্ঞ প্রথম আলো ট্রাস্ট ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি। এই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাবৃত্তি আমার পড়ালেখা শেষ করতে সহযোগিতা করেছে। আমি বিশ্বাস করি, জীবনে সফল হতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে।’
রুবাইয়া ইয়াসমিন ধুনট উপজেলার কালের পাড়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে জিপিএ–৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভালো ফলাফল বিবেচনায় রুবাইয়া ইয়াসমিনকে ‘ব্র্যাক ব্যাংক–প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন রুবাইয়া।
সম্প্রতী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন রুবাইয়া ইয়াসমিন। ভবিষ্যতে জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিচার বিভাগে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন রুবাইয়া।
উল্লেখ্য, রুবাইয়া ইয়াসমিনের স্নাতক পর্যায়ের পড়শোনাতেও ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’ থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছিলেন ।