শফি কামাল ছোটবেলা থেকেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কঠোর পরিশ্রম আর অভাব-অনটনকে পরাস্ত করে স্বপ্ন পূরণের পথে হেঁটে চলেছেন তিনি। শফি কামাল চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌর এলাকার আজাইপুর (আবুরাজপাড়া) মহল্লার বাসিন্দা। ২০২১ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পান তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথম বর্ষে অধ্যায়ন করছেন শফি কামাল। ভবিষ্যতে নেভাল আর্কিটেকচারে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে দেশের বাইরে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন তিনি। অতীত দিনের স্মৃতিচারণা করে শফি কামাল বলেন, ‘বাবার কাছ থেকে লেখাপড়ার কোনো সহায়তা পাইনি। মা সামলেছেন সব। আর মায়ের মতো ভূমিকা পালন করেছেন আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (শংকরবাটী পোল্লাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) শিক্ষকেরা। বিশেষ করে হেড ম্যাডাম মনোয়ারা খাতুন। তিনি আমার জীবনে বটবৃক্ষের ছায়ার মতো। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রতিষ্ঠান দুটি আমার অনার্স পর্যায়ের লেখাপড়ায় সহযোগিতা করছে।’
উল্লেখ্য, শফি কামাল এইসএসসি পর্যায়ে সানিডেইল স্কুল-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে বৃত্তি পেয়েছিলেন। অদম্য মনোভাব ও ভালো ফলাফল বিবেচনা করে শফি কামালকে স্নাতক পর্যায়ে ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্ট শিক্ষাবৃত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।