দারিদ্র্যকে হার মানিয়েছেন অদম্য আরমিন
বাবা অসুস্থ, মা সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালান। অভাবের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল আরমিনার। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। শত কষ্ট ও দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে আলোকিত হয়েছেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আরমিন নাহার। ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তারাগঞ্জ ওয়াক্ফ স্টেট সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ–৫ পেয়েছেন।
আরমিনের বাবা দিনমজুর আবেদ আলী শ্বাসকষ্টের রোগী। তিনি যা আয় করেন, তা দিয়ে সংসার চলে না। স্ত্রী আমেনা বেগম এবাড়ি-ওবাড়ি কাজ করে সহায়তার চেষ্টা করেন। তাঁদের দুর্দশা দেখে গ্রামের এক নারী একটি সেলাই মেশিন কিনে দেন। সেই মেশিন দিয়ে বাড়িতে কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছে আবেদ-আমেনা দম্পতির মেয়ে আরমিন নাহার।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে উচ্ছ্বসিত আরমিন নাহার। তিনি বলেন, ‘ আমার এই সফলতার পেছনে বাবা–মা আর আমার চাচা সিরাজুল ইসলামের অবদান সব থেকে বেশি। বাধা পেরোনোর শক্তি আমি তাদের কাছে থেকে পেয়েছি। এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট আমাকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি দিয়েছে। আমি এই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে কৃতজ্ঞ।’
আরমিনদের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর মধ্যপাড়া গ্রামে। বড় হয়ে বিসিএস (প্রশাসন) কাজ করার ইচ্ছা আরমিনের।
উল্লেখ্য, আরমিন নাহার তারাগঞ্জের বুড়ির হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভালো ফলাফল বিবেচনায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘আপরাজেয় তারা ’ শিক্ষাবৃত্তি পান তিনি।