আমি মো. রিফাত ইসলাম, কোন নামি-দামি স্কুল-কলেজে পড়ি নাই। গ্রামের স্কুল কলেজের শিক্ষকগণ আমাকে স্নেহ দিয়েছেন। পাড়ালেখায় উৎসাহ যুগিয়েছেন।শিক্ষকদের উৎসাহ ও আমার পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টায় পিইসি থেকে এইচএসসি সকল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। ২০২১-২২ সেশনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাই। আমার বাড়ি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলায়। আমি হাকিমপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা করেছি। আমার বাবা মো. আমিন ইসলাম একজন মুদি দোকানদার।
আমার এই কৃতিত্বের পেছনে একটি বড় অংশীদার ব্র্যাক ব্যাংক- প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি। আমার পারিবারিক অবস্থা বিবেচনায় ২০১৯ সালে আমি এখান থেকে শিক্ষাবৃত্তি পাই। এই বৃত্তির টাকা দিয়েই আমি আমার উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পড়াশোনা চালিয়ে যাই। গ্রামের কলেজ হওয়ায় সব টাকা খরচ হতো না বলে কিছু টাকা জমিয়ে ছিলাম এইচএসসি পরবর্তী পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। এই বৃত্তিটি আমার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। এ ছাড়া আমার এই স্বপ্ন কখনো পূরণ হতো না। সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাই প্রথম আলো ট্রাস্টকে। তাদের শিক্ষাবৃত্তি আমার স্বপ্নপূরণের পথ সুগম করে দিয়েছে। এমবিবিএস পড়াশোনা শেষ করে হতে চাই একজন মানবিক ডাক্তার। যেখানে থাকি না কেন, প্রতি মাসে একবার হলেও নিজ গ্রামে এসে বিনা মূল্যে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে চাই। ব্র্যাক ব্যাংক- প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিলের শিক্ষার্থীরা যারা মেডিকেল ভর্তি ইচ্ছুক তাদের জন্য বলতে চাই ‘ শুধু নামি-দামি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলেই মেডিকেল ভর্তির সুযোগ হয়, বিষয়টি এমন নয়। মনে একটি সুপ্ত বাসনা, স্বপ্ন থাকতে হবে। নিয়মিত আগ্রহ সহকারে শিক্ষকের কথামতো পড়াশোনা করলে যেকোন জায়গা থেকেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।