এইচএসসিতেও পেলেন সাফল্য, স্বপ্ন এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির

সাফল্যের ধারা ধরে রেখেছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী মো. তাহমিদ আবদুস সবুর।

সাফল্যের ধারা ধরে রেখেছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী মো. তাহমিদ আবদুস সবুর। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের পরিচালক জাহিদা ইস্পাহানির সহযোগিতায় এইচএসসি পর্যায়ে বৃত্তি পেয়েছে তাহমিদ।

উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের বাঁশাইল গ্রামের মো. দুলাল হোসেন ও মোছা. তাহমিনা খাতুন দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে তাহমিদ। বরাবরই পড়ালেখায় খুব ভালো তিনি। নিমগাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন নিমগাছী উচ্চবিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তাহমিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এখন তাহমিদ রাজশাহীতে কোচিং করছেন।

সাফল্যের ধারা ধরে রেখেছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী মো. তাহমিদ আবদুস সবুর।

গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে কথা হয় তাহমিদের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য তিনি এখন কোচিং করছেন। তাহমিদ বলেন, ‘এখন একটাই স্বপ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে প্রস্তুত করার পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ার ইচ্ছা আমার।’ তার এ পথচলার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উচ্চশিক্ষার এ পথে আগামী দিনেও প্রথম আলো ট্রাস্ট তাঁর পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন তাহমিদ। তার বড় দুই বোন ও ভাই পড়ালেখা করছেন। বড় বোন নাজমুন নাহার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন। বড় ভাই মো. হাবিবুর রহমান স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থী।

তাহমিদের বাবা মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘সামান্য আয়ের মানুষ আমি। তিনটা ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করছে। প্রথম আলো ছোট ছেলের কলেজে পড়ালেখার জন্য সাহায্য করেছে। এতে আমাদের অনেক অনেক কষ্ট লাঘব হয়েছে।’

তাহমিদের মা মোছা. তাহমিনা খাতুন বলেন, ‘আমার ছোট ছেলেটা পড়ালেখায় খুব ভালো। প্রথম আলো তার পাশে থাকায় খুব উপকার হয়েছে।’