প্রথম আলো ট্রাস্টের যে কটি প্রধান কর্মসূচি রয়েছে, তার মধ্যে অদম্য মেধাবী তহবিল একটি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সুবিধাবঞ্চিত যে শিক্ষার্থীরা জীবনসংগ্রামের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেন, সেই সকল অদম্য মেধাবীদের দেওয়া হয় শিক্ষাবৃত্তি। এই শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্তদের একজন হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হরিপুর মিয়াপাড়া গ্রামের অসচ্ছল পরিবারের সন্তান নাদিম মাহমুদ। বাবা রিক্সাচালিয়ে বা দিনমজুরি করে সংসার চলালেও নাদিম থেমে যাননি। অদম্য শক্তি নিয়ে এগিয়ে গেছেন। সেই পরিশ্রম, দৃঢ়তার বলে ২০১৫ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পান নাদিম। তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করে প্রথম আলো।
পরে তাঁর অদম্য ইচ্ছা ও পারিবারিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে মনোনীত করা হয় ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির জন্য। এই বৃত্তির মাধ্যমে নাদিম এইচএসসি পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে এইচএসসিতে অল্পের জন্য জিপিএ-৫ না পেলেও সাফল্য ধরে রাখেন এবং এমবিবিএস ভর্তির সুযোগ অর্জন করে। ২০১৭-১৮ সেশনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ১৪৪১ তম হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পান নাদিম। পরে তাঁকে এমবিবিএস পর্যায়ের ৫ বছর শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয় প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়ান সমাজসেবী জনাব সাদিয়া মঈন। তিনি প্রথম আলো ট্রাস্টের মাধ্যমে নাদিমসহ আরও ৩ জনের পড়াশোনায় সহযোগিতা করেছেন।
নাদিম বলেন, আজকের এই সফলতার পেছনে অনেকের অবদান আছে। একজন ভালো চিকিৎসক হতে চাই। সামর্থ্যহীন রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে চাই। কোন গরীব রোগী টাকার অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে আমার কাছ থেকে ফিরে যাবে না বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে। আমি । সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।’