শত অভাব-অনটনের মধ্যেও প্রমা রানী তালুকদার যখন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন, তখন প্রথম আলোর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি তাঁকে নিয়ে সংবাদ পাঠান। তখন তিনি প্রতিনিধিকে তাঁর স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কঠোর পরিশ্রম ও অক্লান্ত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তাঁর স্বপ্নকে সত্যিতে পরিণত করেছেন প্রমা রানী। তিনি এ বছর সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা জিপিএ-৫ পান এবং ২০২১-২০২২ সেশনে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রমা রানীর বাবা অরুণ তালুকদার ফেরি করে সবজি বিক্রি করেন। এতে যা আয় হয় তাতে সংসার চলে না। মা নীলিমা তালুকদার গৃহিণী। দুই ভাই-দুই বোনের মধ্যে প্রমা তৃতীয়। অভাবের সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকে। তার ওপর রয়েছে আরও তিন ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ। তাই এসএসসি পর্যন্ত অন্যদের পড়িয়ে তাঁর নিজের পড়ার খরচ জোগাড় করেছেন। পরে তাঁর অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও পারিবারিক অবস্থা বিবেচনায় এনে প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এই শিক্ষাবৃত্তির সহযোগিতায় এইচএসসি পর্যায়ে পড়াশোনা করেন। এখন এমবিবিএস পর্যায়ে পাঁচ বছর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পাবেন ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি।
প্রমা রানী জানান, ‘চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করব। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াব। আর আমাকে এই পর্যন্ত আসতে পাশে থাকার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টকে অনেক ধন্যবাদ।’