বাধা পেরিয়ে অদম্য পিন্টু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে
পিন্টু বিশ্বাস ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ছিলেন মনোযোগী। কিন্তু পরিবারের অভাব–অনটনের কারনে পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছিল। পিন্টুর বাবা বলরাম পেশায় নরসুন্দর। তাঁর স্বল্প আয়ে পরিবারের অভাব দূর হয়না। পিন্টু বিশ্বাস পরিবারের আয় বাড়াতে পড়াশোনার পাশাপাশি শিখে নেন নরসুন্দরের কাজ। দিনের বেলা ঘন্টার পর ঘন্টা বাবার পেশায় সহযোগিতা করেছেন আর রাত জেগে পড়াশোনা। কঠোর পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন পিন্টু বিশ্বাস। বদরগঞ্জের পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে জিপিএ –৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় পিন্টু। ভালো ফলের ধারাবাহিকতা বাজায় থাকে এইচএসসিতেও। ২০২৩ সালে খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এখন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছেন পিন্টু।
ইতিমধ্যে দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন পিন্টু বিশ্বাস। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটে ২৯১ তম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটে ৬৫৪তম স্থান পেয়েছেন। পিন্টু বলেন, ‘এসএসসিতে ভালো ফল করার পর ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পাই। এই বৃত্তি না পেলে আমি এতদূর পর্যন্ত আসতে পারতাম না। বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি। এখনো ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। ভর্তির সুযোগ পেলে জীবনের লক্ষ্য নতুনভাবে নির্ধারণ করবো।’
বদরগঞ্জের রাধানগর ইউনিয়নের পাঠনপাড়ার বাসিন্দা পিন্টু বিশ্বাসের আরও এক ভাই ও দুই বোন পড়ালেখা করছেন। পিন্টু বিশ্বাস স্বপ্ন দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে পড়ালেখা শেষ করে নিজের ও পরিবারের ভাগ্যে চাকা ঘোরাবেন।
উল্লেখ্য, পিন্টু বিশ্বাসের স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।