অদম্য তাজনীম বিএসসি ইন নার্সিংয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন

অদম্য মেধাবী তাজনীম খেয়া।

তাজনীম খেয়ার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো সেবামূলক পেশায় নিজেকে যুক্ত করবেন। পরিবারিক আর্থিক অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী; কিন্তু পড়াশোনার পথ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি অদম্য তাজনীম। অপরাজেয় মনোভাবের কারনে শত বাধা পেরিয়ে স্বপ্নপূরণের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন তিনি। সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ খুলনায় (২০২৩–২০২৪) সেশনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তাজনীম খেয়া।

তাজনীমের বাবা আবদুল খালেক পেশায় ছিলেন নৈশপ্রহরী। ২০১৭ সালে কাজ থেকে নেন অবসর। এরপর দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০২৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাজনীম বলেন, আমার বাবা অবসর গ্রহণের পর পরিবারের আর্থিক ব্যয় নির্বাহ করতো  আমার মা রেবেকা সুলতানা। করোনার সময় মায়ের  সূর্যের হাসি ক্লিনিকের চাকরিটা চলে যায়। আমরা নিদারুণ আর্থিক সংকটে পরি। এতে করে আমার পড়ালেখা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এই সংকটের সময় ব্র্যাক ব্যাংক–প্রথম আলো ট্রাস্ট আমার পাশে দাঁড়ায়। সেই সময় ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি না পেলে আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না।

তাজনীম খেয়া কুমিল্লার লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ভালো ফল করা সত্ত্বেও আর্থিক অসঙ্গতির কারনে কলেজে পড়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ভালো ফলাফল বিবেচনায় তাজনীম ‘ব্র্যাক ব্যাংক– প্রথম আলো ট্রাস্ট’ অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত হন। ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে জিপিএ–৫ পান তাজনীম।

উল্লেখ্য, তাজনীম খেয়ার স্বপ্নপূরণের পথে আবারও পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি নার্সিং(বিএসসি) পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।