‘বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করে’

প্রথম আলো ট্রাস্ট যে কটি কার্যক্রম পরিচালনা করে তার মধ্যে অদম্য মেধাবী তহবিল অন্যতম। এই তহবিল থেকে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এই তহবিল থেকে ২০২১ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৩৩ জন অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে। এই অদম্যদের একজন ইমরান লস্কর যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তিনি লিখেছেন প্রথম আলোর ২৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নিজের ভাবনা।

ইমরান লস্কর, ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী-২০১৯। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে নিয়মিত যে কটা পত্রিকা পড়ে থাকি তন্মধ্যে প্রথম আলো পত্রিকা সবার আগে পড়ি। এ অভ্যাসটা একদিনের না, অনেক পুরনো। যখন স্কুলে পড়তাম, তখন পত্রিকা কেনার সামর্থ্য ছিল না। তবে নারায়ণদার সেলুনে গিয়ে পত্রিকা পড়তাম।

দাদা, আজ প্রথম আলো পত্রিকা রাখনি? কী যে পত্রিকা রাখো—এই কথা বলে আমি প্রায়ই স্কুলের টিফিনের সময় নারায়ণদার সেলুনের পেছনে ছোট্ট ঘরটার টেবিলে রাখা প্রথম আলো পত্রিকা খোলে পড়তাম। তখন জাতীয় দৈনিক মফস্বল বা গ্রামে পৌঁছাত না। তবুও স্থানীয় পত্রিকার পাশাপাশি প্রায়ই প্রথম আলো পত্রিকা তিনি রাখতেন।

২০১৭ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি কোন একদিন প্রথম আলো পত্রিকা পড়ছি। দুটি পাতা উল্টাতেই দেখি আমার ছবিসহ ছোট্ট একটা খবর ছেপেছে। আমি ‘থ’ হয়ে আছি, নির্বাক হয়ে গেছি। সেই নিউজ ছাপা, আমাকে বৃত্তি দিয়ে আজকের ইমরান করে তোলা—সবই প্রথম আলোর অবদান। প্রথম আলো পত্রিকা কতটা সুবিধাবঞ্চিত, অধিকার বঞ্চিত জনগণের পাশে থেকে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করে—তা ধারণাতীত।

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ, সত্যের ধারক ও বাহক প্রথম আলো যা লক্ষ লক্ষ পাঠকের গহীনচিত্তে জায়গা করে নিয়েছে।

প্রথম আলো এবার ২৪তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। পাঠক প্রিয় প্রথম আলোর জন্মদিনে আমি একজন ক্ষুদ্র পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আশা রাখি—তার অতুলনীয়, অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহকে অক্ষুণ্ন রেখে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাক, এই প্রত্যাশ করি।