নিরবে এগিয়ে যাচ্ছেন নিবিড়

ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত ওমর ফারুক নিবিড় এইচএসসিতেও সাফল্য ধরে রেখেছেন।

সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী ওমর ফারুক নিবিড়। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে তিনি জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য ধরে রাখেন। ২০২১ সালে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তাঁর পারিবারিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল’ থেকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন কথা দিয়েছিলেন এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাবেন, পেয়েছেনও।

গত বুধবার ওমর ফারুক নিবিড় ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। আবাদি কোনো জমাজমি নেই তাদের। সম্বল বলতে বসতভিটার জমিটুকু। ওমর ফারুক নিবিড় যখন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তখন তাঁর বাবা মো. এহসানুল হক মারা যান। এরপর আরও বেশি সমস্যায় পড়ে পুরো পরিবারটি। লেখাপড়ার খরচ ও সংসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন অদম্য মেধাবী নিবিড়।

এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। এ সময় তাঁর পড়াশোনায় পাশে দাঁড়ায় ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট। অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয় তাকে। তাঁর বড়বোন ইশরাত জাহান নিঝু পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্বে পড়ালেখা করছেন। তিনি বলেন, বাবাকে হারানোর পরে আর্থিক সমস্যা থাকলেও প্রথম আলো ট্রাস্ট আমার ভাইয়ের পাশে দাঁড়ায়। এ বিষয়টি তাঁর এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে সহায়তা করেছে।

ওমর ফারুক নিবিড় বলেন, ‘অনেক কষ্টের মধ্যেও এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলাম। কলেজে ভর্তির পরে আর্থিক সমস্যায় ছিলাম। লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছিল। ব্র্যাক ব্যাংক ও প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি এবং আমার পরিশ্রমে আজকের এই সাফল্য। আমি লেখাপড়া শেষ করে ভালো কোনো একটা পদে যোগ দিয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।’

নিবিড়ের মা মোছা. শাপলা খাতুন বলেন, ‘ছেলেটা এবারেও ভালো ফলাফল করেছে। প্রথম আলোর কারণে ঢাকা কলেজে পড়া অনেক সহজ হয়েছে।' তিনি তাঁর ছেলে ও মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।