ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সামিয়া আক্তার উচ্চশিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। পরিবারের অর্থ সংকটের কারনে শিক্ষাজীবনে সমস্যায় পড়েছেন বারবার। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। অদম্য সামিয়া ২০২৪ সালের আলিম পরীক্ষায় জিপিএ– ৫ পেয়েছেন । ভবিষ্যতে ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চান তিনি।
সামিয়া আক্তারের বাবা আব্দুল মজিদ পেশায় কৃষক। ফসলের মাঠে সকাল–সন্ধ্যা কঠোর পরিশ্রম করেন কিন্তু পরিবারের অভাব দূর হয়না। অর্থ সঙ্কটের কারনে পরিবারের তিন ছেলেমেয়ের পড়ালেখা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সামিয়া আক্তার বলেন,‘ আমার বাবা হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করার চেষ্টা করছেন। আমরা শত প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে এ পর্যন্ত এসেছি দাখিল পরীক্ষায় ভালো ফল করার পরও আমার আলিম ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। সেই সময়ে আমি ব্র্যাক ব্যাংক–প্রথম আলো ট্রাস্ট অপরাজেয় তারা শিক্ষাবৃত্তি পাই। এই বৃত্তি না পেলে আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই। ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার স্বপ্ন দেখি।’
উল্লেখ্য, ভবানীপুর নামাপাড়া খাতামুন নাবিয়ীন মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় সামিয়া আক্তার। পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অপরাজেয় তারা তহবিল’ থেকে দেওয়া হয় শিক্ষাবৃত্তি। ভালো ফলের ধারাবাহিকতা বাজায় থাকে আলিম পরীক্ষাতেও। ২০২৪ সালে জিপিএ–৫ পেয়ে আলিম পাস করেন তিনি।