চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর পড়াশোনা করতে চান অদম্য জুলেখা

জুলেখা রেজওয়ানার স্বপ্ন ছিলো যে করেই হোক সে ডাক্তার হবে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ছিলেন ভালো। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। বাবা জহুরুল ইসলামের আকস্মিক অসুস্থতায় উচ্চশিক্ষা পথ প্রায় বন্ধ হতে চলেছিলো জুলেখার। প্রথম আলো ট্রাস্ট রেজওয়ানার পাশে দাঁড়ায়। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির’ জন্য মনোনীত হন তিনি। ২০২১ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পান।  ২০২২ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দিনাজপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান জুলেখা।

 বর্তমানে অধ্যাবসায় ও কঠোর পরিশ্রমে ভর করে স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলছে রেজওয়ানা। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দেবোত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রেজওয়ানা বলেন, বাবা জহুরুল ইসলাম স্থানীয় লালদিঘীবাজারে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির ব্যবসা করতেন। আমাদের ভালোই চলছিল। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারনে আমার পড়ালেখা অনিশ্চয়তার মধ্যে। এই সঙ্কটের সময় পাশে দাঁড়ায় প্রথম আলো ট্রাস্ট। আমি ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হই। । এই সহযোগিতার ফলে আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি।’  

জুলেখা রেজওয়ানার স্বপ্নের পরিধি বেড়েছে। ভবিষ্যতে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করতে চান।  

উল্লেখ্য, জুলেখা রেজওয়ানের স্বপ্নপূরণের পথে বর্তমানেও পাশে আছে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট’। তিনি স্নাতক পর্যায়েও এই শিক্ষাবৃত্তি নিয়মিত পাচ্ছেন।