আরে, ইনিই তো তিনি!

প্রথম আলো ট্রাস্ট যে কটি কার্যক্রম পরিচালনা করে তার মধ্যে অদম্য মেধাবী তহবিল অন্যতম। এই তহবিল থেকে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এই তহবিল থেকে ২০২১ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৩৩ জন অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে। এই অদম্যদের একজন লিখেছেন প্রথম আলোর ২৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পাঠক উৎসব নিয়ে তাঁর নিজের ভাবনা।

প্রথম আলো ট্রাষ্টের স্টলে অদম্য মেধাবী স্বেচ্ছাসেবী দলে মো. হান্নান।

গত ৪ নভেম্বর প্রথম আলোর ২৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। দিনটিকে ঘিরে প্রথম আলোর ছিল বিশাল এক বর্ণাঢ্য আয়োজন। কী ছিল না এই আয়োজনে!  বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনকে প্রথম আলো পাঠকদের জন্য বর্ণিল করে রেখেছিল। একজন পাঠক হিসেবে উক্ত আয়োজন দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান স্যার, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক স্যার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথা শোনার সুযোগ হয়েছে। এ ছাড়া প্রিয় চঞ্চল চোধুরীসহ বিভিন্ন খ্যাতিমান তারকাদের দেখার সুযোগ হয়েছে। শেষ বিকেলে ‘নকশা ফ্যাশন’-এ পিয়া জান্নাতুল ও রুনা খানকে দেখতে পেয়ে ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে তারকাদের পত্র-পত্রিকা বা টেলিভিশনে দেখে আমরা যেমনটা ভাবি বা মনে করি বাস্তবে দেখে মনে হয় — আরে এইতো, ইনিই তো তিনি!

প্রথম আলো ট্রাষ্টের স্টলে অদম্য মেধাবী মো. হান্নান।

৪ নভেম্বর সকালটা ছিল অনেক সুন্দর। শিশু-কিশোর ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছিল চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। বিজ্ঞানচিন্তা ও কিশোর আলোর নানা আয়োজন ছিল দেখার মতো। এ ছাড়া বন্ধুসভার বন্ধুদের আড্ডা ও গানে মুখরিত ছিল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।

পাঠক উৎসবে প্রথম আলো ট্রাষ্টের স্টল ছিল। এই স্টলে থাকার ও কাজ করার সুযোগ হয়েছিল আমার। স্টলে সকলের জন্য উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন খেলার আয়োজন ছিল। স্টলে আগত পাঠকগণ প্রথম আলো ট্রাষ্টের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে বই, ম্যাগাজিন ইত্যাদি পেয়েছেন। পুরস্কার পাওয়ার চেয়ে পুরস্কার দেওয়া সত্যিই অনেক আনন্দের!

প্রথম আলো বাংলা ভাষায় পঠিত সবচেয়ে বড় দৈনিক পত্রিকা। তবে প্রথম আলো শুধু খবর ছাপানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে প্রথম আলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রথম আলো ট্রাষ্ট দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠা করেছে আলোর পাঠশালা। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য রয়েছে শিক্ষাবৃত্তি। এতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদেরও উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম আলোর রয়েছে আরও নানাবিধ সামাজিক কার্যক্রম। এসব কার্যক্রমের জন্য প্রথম আলো শুধু পাঠকমহলে নয় সর্বমহলে সমাদৃত। এ রকম একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি গর্বিত।