বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অদম্য নিবিড়ের সাফল্য

প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করেছেন সিরাজগঞ্জের অদম্য মেধাবী ওমর ফারুক নিবিড়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ও সাফল্য ধরে রেখেছেন।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অদম্য মেধাবী ওমর ফারুক নিবিড় উচ্চশিক্ষার ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা অব্যাহত রেখেছেন। রুয়েট, কুয়েট, চুয়েটের সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সফলতা লাভ করার পাশাপাশি বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও সফল হচ্ছেন তিনি। গত বুধবার এ বিষয়ে কথা হয় ওমর ফারুক নিবিড়ের সঙ্গে। প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিলের মাধ্যমে নিপসমের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শিরিন আক্তারের ব্যক্তিগত সহযোগিতায় নিবিড়কে এইচএসসি পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

নিবিড় জানালেন, ছয় মাস আগে পরিচয় দিতাম ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ি। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে ভর্তিযুদ্ধে প্রচণ্ড অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। মহান আল্লাহর রহমতে এখন পরিচয় দিতে পারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে, প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২৩৬২ তম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি-ইউনিটে ৪০৮ তম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটে ১৫১০ তম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটে ১১৭১ তম হয়েছি। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক-বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। এগুলোর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি।

প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করেছেন সিরাজগঞ্জের অদম্য মেধাবী ওমর ফারুক নিবিড়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ও সাফল্য ধরে রেখেছেন।

নিবিড় আরও বলেন, ২০২১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পাই। তারপর উচ্চমাধ্যমিকে দেশের সেরা ঢাকা কলেজে ভর্তি হই। আল্লাহর অশেষ রহমতে ২০২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষায় আবার জিপিএ-৫ পাই। নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় আমার বাবা এহসানুল হক মারা যান। মা মোছা. শাপলা খাতুন অসুস্থ। তাই অন্যদের মতো আমার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং ভর্তিযুদ্ধ ততটা সহজ ছিল না। যা হোক আল্লাহর রহমতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে আজ এই অবস্থায়। আমার এই উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পাশে দাঁড়ায় প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল। এ তহবিলের মাধ্যমে অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির জন্য আমি মনোনীত হই। অসংখ্য কৃতজ্ঞতাও ধন্যবাদ প্রথম আলো ট্রাস্টকে।’

নিবিড়ের মতো হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের পথে পাশে থাকে প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী তহবিল। আর্থিক অস্বচ্ছ লতা যাতে বাঁধা না হতে পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে এই তহবিল।

নিবিড় সকলের কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়নি সেগুলোতেও আমি যেন সাফল্য অর্জন করতে পারি এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের সেবা করতে পারি, দেশের উন্নতিতে ও অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারি।’

নিবিড়ের বড়বোন ইশরাত জাহান নিঝু বলেন, আমাদের পরিবারের দুঃসময়ে প্রথম আলো ট্রাস্ট পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমার ভাইটা এখন একটি বড় সুযোগের অপেক্ষায় আছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’