ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিলের সহযোগিতায় সাফল্য অর্জনকারী এক অদম্য মেধাবী চন্দ্রশেখর চৌহান। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। বর্তমানে একই অনুষদের মেডিসিন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন।
চন্দ্রশেখর চৌহানের বাড়ি গাইবান্ধা শহরের শহীদ আনোয়ার হোসেন সড়কে শনিমন্দিরের কাছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে চন্দ্রশেখর বড়। ছোট ভাই সৌরভ বাংলাদেশ টেক্সটাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ভর্তি হয়েছেন। নিজেদের বসতভিটা ও সহায়-সম্পদ বলতে কিছুই নেই। বাবার অল্প আয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হত। অভাব-অনটন লেগেই থাকত। তারপরও নিজের ইচ্ছা শক্তির বলে, অনেক পরিশ্রম করে পড়াশোনা চালিয়ে যান চন্দ্রশেখর। কখনো থেমে যাননি। তার ফলও পেয়েছেন। ২০১০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ভালো ফলাফল করার জন্য প্রথম আলোর স্থানীয় প্রতিনিধি চন্দ্রশেখর নিয়ে প্রতিবেদন পাঠান। পরে তার পারিবারিক অবস্থা ও অদম্য মেধাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
বৃত্তির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে নিয়মিত ক্লাস ও পড়াশোনা চালিয়ে যান চন্দ্রশেখর। নিরলসভাবে পড়াশোনা করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ অর্জন করেন। পরে ভালো করে পড়াশোনা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) বিভাগে ভর্তির সুযোগ অর্জন করেন। তাঁর ধারাবাহিক ভালো ফলাফলে স্নাতক পর্যায়েও শিক্ষাবৃত্তি অব্যাহত রাখে প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল। স্নাতকেও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন, করতে চান শিক্ষকতা।
চন্দ্রশেখর চৌহান বলেন, ‘স্বপ্ন দেখি, একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হব। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি অনেক। প্রথম আলো ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তির টাকায় পড়াশোনা করেছি। আমার চলার পথকে যাঁরা সুগম করেছেন তাঁদের সকলের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ আমি।’