কোনো কিছুতেই ভেঙ্গে পড়া যাবে না

অদম্য মেধাবী ফারুক হোসেন।

ফারুক হোসেন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে তাঁর মা মারা যান। দিনমজুর বাবাও নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে মারা যান। বাবা-মা দুজনই মারা যাওয়ার পরে ওই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মুন্নার কাছে আশ্রয় পান ফারুক। আশ্রিত থেকে ২০০৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এমন ভালো ফল করায় তাঁকে নিয়ে প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে তাঁর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির সহযোগিতায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক (সম্মান) শেষ করেন তিনি। সম্প্রতি রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর (সপ) পদে সরকারি চাকরি পান।

ফারুক হোসেন বলেন, ‘এমনও হয়েছে ১৫ দিন মসজিদে থেকে পড়াশোনা করেছি। সুতরাং ইচ্ছা থাকলে সবকিছু জয় করা সম্ভব। বাধাকে অতিক্রম করা সম্ভব। সততা থাকতে হবে, সৎ হতে হবে এবং কোনো কিছুতেই ভেঙ্গে পড়া যাবে না।’