ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিলের শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত ডা. মো.আবু হোসেন। ২০১৯ সালের মে মাসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ইন্টার্নশিপ শেষ করে সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল লিমিটেডে মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে আরএমও হিসাবে কর্মরত।
করোনাকালে ডা. মো.আবু হোসেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখে জানালেন আমাদের কাছে। তাঁর লেখা এখানে তুলে ধরা হলো—
এই বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট শুরু হয়। সংক্রমণ তো কমছেই না বরং বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রোগীদের চাপ সামাল দিতে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও বাড়ছে চাপ। তবুও আমাদের মধ্যে নূন্যতম সচেতনতা নেই । রোগী বা তাদের স্বজনেরা হাসপাতালে এসেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে চান না । খবর পাচ্ছি গ্রামে ঘরে ঘরে করোনা উপসর্গে ভুগছেন অনেক মানুষ। তাদের কাছে ব্যাপারটা এমন যেন 'অন্যের হলে করোনা, আমার হলে সাধারণ জ্বর।’
করোনা উপসর্গে ভুগছেন অনেকেই। ফোন করে পরামর্শ চান । তাদেরকে নিজের সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টা করি। যারা সময় মতো চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারা উপকৃত হচ্ছেন। যারা অবহেলা করছেন তাদের বেশিরভাগ ক্রিটিক্যাল অবস্থায় হাসপাতালে যাচ্ছেন। এই ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট খুব দ্রুত ফুসফুসকে সংক্রমিত করছে। ফলে যারা চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন তাদের অক্সিজেন লেভেল কমে যাচ্ছে, আইসিইউ সাপোর্ট লাগছে।
ডা. মো.আবু হোসেন বলেন, ‘ অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়েও আমরা আন্তরিকতার সাথে মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সেবা দিতে গিয়ে আমাদের অনেক সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, সুস্থ হয়ে আবার মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এত ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দিনশেষে অদ্ভূত এক ভালোলাগা কাজ করে । এই ভেবে যে, দেশের এই ক্রান্তিকালে একজন করোনা-যোদ্ধা হিসেবে মানুষকে সেবা দিতে পারছি। তাদের ভালোবাসা পাচ্ছি। সবশেষে বলতে চাই, করোনা মোকাবেলায় মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। নিজে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সুরক্ষিত থাকুন। নিরাপদে থাকুন।’