প্রাইভেট পড়ার মতো অবস্থা ছিল না

আফরিন মৌ

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছানো পরিবারের প্রথম নারী, যাঁরা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারছেন না, তাঁদের অনুপ্রাণিত করার জন্য দেওয়া হয় আইডিএলসি-প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অদ্বিতীয়া’ বৃত্তি। ২০২০ সালে এই শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন ১০ জন। সবাই মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার চা-শ্রমিকের সন্তান। তাদেরই একজন আফরিন মৌ।

আফরিন মৌ বলেন আমার হাইস্কুল ছিল অনেক দূরে। প্রথমে পায়ে হেঁটে, তারপর গাড়িতে করে যেতে হতো। প্রাইভেট পড়ার মতো অবস্থা ছিল না। দশম শ্রেণিতে ওঠার পর আমাদের প্রধান শিক্ষক বিনা খরচে কোচিং করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। হোস্টেলে থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের বাগানে যিনি ম্যানেজার ছিলেন, তিনিই আমাকে এইউডব্লিউর খবর দেন। পড়ালেখার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে, এটা অনেক বড় পাওয়া। সঙ্গে অদ্বিতীয়া বৃত্তি আমাকে সাহস দেবে।

প্রথম আলো ট্রাস্ট ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসির উদ্যোগে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের এই শিক্ষার্থীরা অদ্বিতীয়া বৃত্তি পাচ্ছেন। এই শিক্ষার্থীদের আবাসন, টিউশন ফি সুবিধাসহ নানা সুযোগ দেয় এইউডব্লিউ।