তমার স্বপ্ন, চা বাগানে একটা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল করবেন

তমা বর্মার বাবা জয়ন্ত বর্মা চা শ্রমিক। দিনভর খেটে তিনি পান একশত টাকা। এত অল্প টাকায় পরিবারের পাঁচজনের খাবার জোগাড় করা যেখানে অসম্ভব, সেখানে আবার পড়াশোনা? তবু মেয়ে তমা বর্মার অদম্য ইচ্ছে দেখে বাধা হয়ে দাঁড়াননি মা বাবা। নিজেও চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তমা। পড়াশোনার খরচ চালাতে অষ্টম শ্রেণি থেকে টিউশনি শুরু করেন তিনি।

তমা বর্মা বলেন, আমার এলাকা মৌলভীবাজারের কামুদপুরে চা বাগানের কেউ ভাবেনি আমি এত দূর আসতে পারব। সারা জীবন অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। এর মধ্যে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) ভর্তি হলাম।

আইডিএলসি-প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তির জন্য মনোনীত হয়ে আমার খুব উপকার হলো। পড়াশোনা শেষ করে তমার স্বপ্ন, চা বাগানে একটা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কুল করবেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছানো পরিবারের প্রথম নারী, যাঁরা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারছেন না, তাঁদের অনুপ্রাণিত করার জন্য দেওয়া হয় আইডিএলসি-প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অদ্বিতীয়া’ বৃত্তি। প্রথম আলো ট্রাস্ট ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসির উদ্যোগে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের এই শিক্ষার্থীরা অদ্বিতীয়া বৃত্তি পাবেন। এই শিক্ষার্থীদের আবাসন, টিউশন ফি সুবিধাসহ নানা সুযোগ দেয় এইউডব্লিউ।