কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক করে এইউডব্লিউতে ভর্তির সুযোগ নেন জান্নাতুল নাঈমা। ২০১৬ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে অথই সাগরে পড়েছিলেন নাঈমার মা। উপায়ান্তর না পেয়ে ডিগ্রি পড়ার সময় সংসার চালানোর জন্য একটি দোকানে কাজ নেন ভাই। নাঈমাদের পরিবারের অভাব অনটন দেখে বিনা বেতনে প্রাইভেট পড়াতে সম্মত হয়েছিলেন কয়েকজন শিক্ষক। সুযোগটা বৃথা যেতে দেননি এই মেধাবী ছাত্রী। পরিবারের প্রথম মেয়ে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। জান্নাতুল নাঈমা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর সামর্থ্য আমার পরিবারের ছিল না। এখন যেহেতু সুযোগটা পেয়েছি, তাই এই সুযোগে সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করব। ইচ্ছা আছে, পড়ালেখা শেষ করে আমাদের গ্রামের কলেজে শিক্ষকতা করব। পাশাপাশি নারীশিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করব।’
উল্লেখ্য, দরিদ্রতম পরিবারের প্রথম মেয়েসন্তান, যাঁরা নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছান, তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া হয় আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি। চট্টগ্রাম অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়। তাঁদের আবাসন, টিউশন ফি মওকুফসহ নানা সুবিধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত ট্রান্সকম গ্রুপের সহযোগিতায় ৪২ জন এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ৫৬ জনসহ মোট ৯৮ জন এই বৃত্তি পেয়েছেন। ২০২২ সালে বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০ জন অদ্বিতীয়ার মধ্যে অন্যতম ইসমা আক্তার। পরিবারের প্রথম মেয়ে হিসেবে স্নাতক পড়ছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে।