নওগাঁর মেয়ে সুমাইয়া তাসনিম। বাবা মহিদুল আলম চায়ের দোকান করে সংসার চালান। মা ফাহিমা বেগম গৃহিণী। বাবা-মা স্বপ্ন দেখতেন মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করবেন। কিন্তু অভাবের কারণে সেই স্বপ্ন বারবার ধাক্কা খাচ্ছিল। এমন সময় গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে জানতে পারেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে (এইউডব্লিউ) ভর্তির বিষয়টি। লিখিত আর মৌখিক পরীক্ষায়ও উতরে যান সুমাইয়া। পরে বৃত্তি নিয়ে সুযোগ পান স্নাতক ভর্তির। এদিকে ২০১৯ সালে আইডিএলসি-প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া শিক্ষাবৃত্তি পান সুমাইয়া। সম্প্রতি (মে, ২০২৪) তিনি চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন থেকে জনস্বাস্থ্য বিভাগের স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা নোরা হেলথে ট্রেইনি অ্যাসিসট্যান্ট হিসাবে কর্মরত। নোরা হেলথে তিন গত মাসে যোগদান করেছেন।
তাঁর স্বপ্ন শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হওয়ার। তাঁর আগে তিনি স্বাস্থ্য খাতে কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করে বিদেশে গিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে চান। সে পথেই আছেন। বিদেশ থেকে জনস্বাস্থ্য বিভাগে পড়াশোনা করে দেশের জনগণের সেবা ও বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চান তিনি।
ছোটবেলার গল্প বলতে গিয়ে সুমাইয়া বলেন, ‘আমি নওগাঁ থেকে এসেছি। এইউডব্লিউতে আসার পর আমার মনে হয়েছে, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জব করব। আমার সিনিয়ররা অনেকেই জয়েন করেছে। এটা দেখেই শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন তীব্র হয়েছে। আমিও পারব—এটা মনে হয়েছে। আমার পরিবার, আমার শিক্ষকেরা অনেক সাপোর্ট করেছে আমাকে। তাই মনে হয়েছে, আমি শিক্ষক হলে আমিও অন্যদের সাপোর্ট করতে পারব। সে প্রচেষ্টাতেই আছি। দোয়া করবেন আমার জন্য, যেন স্বপ্নপূরণ করতে পারি।’
এখন যারা অদ্বিতীয়া আছে তাদের জন্য সুমাইয়ার পরামর্শ হলো ‘কোনো কিছুতেই ঘাবড়ানো যাবে না। টাইম ম্যানেজ করে কাজ করতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। মনোবল থাকতে হবে। কোনো কিছু সহজে পেলেও সহজ মনে না করা। কাজটা সুন্দর এবং সময় থাকতে করতে হবে। তাহলে সফলতা আসবেই।’