কুসুম মুন্ডার বাবা একজন চা–শ্রমিক। দৈনিক আয় ১৭০ টাকা। ৫ সদস্যের পরিবারে বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আয়ের অন্য কোনো উৎসও নেই। তিন বোনের মধ্যে কুসুম বড়, বাকি দুজনও পড়াশোনা করছে। কুসুম বলেন, ‘যেভাবে হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বই—এই লক্ষ্য আমার সব সময়ই ছিল। যখন এইউডব্লিউর কথা জানতে পারি, তখন ভালোভাবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিই। অবশেষে সুযোগও পেয়ে যাই। দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করেই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে একজন আদর্শ মানুষ হতে চাই। বিসিএস ক্যাডার হয়ে শিক্ষকতা করার ইচ্ছা আছে।’
কুসুম মনে করেন, অদ্বিতীয়া বৃত্তি তাঁর পড়ালেখার পথ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। কুসুম বলছিলেন, ‘বাবার ওপর চাপ কমেছে, এটাই বড় স্বস্তির বিষয়। আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
উল্লেখ্য, দরিদ্রতম পরিবারের প্রথম মেয়েসন্তান, যাঁরা নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছান, তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া হয় আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি। চট্টগ্রাম অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়। তাঁদের আবাসন, টিউশন ফি মওকুফসহ নানা সুবিধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত ট্রান্সকম গ্রুপের সহযোগিতায় ৪২ জন এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ৫৬ জনসহ মোট ৯৮ জন এই বৃত্তি পেয়েছেন। ২০২২ সালে বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০ জন অদ্বিতীয়ার মধ্যে অন্যতম মৌলভীবাজার রাজনগরের মেয়ে কুসুম মুন্ডা। পরিবারের প্রথম মেয়ে হিসেবে স্নাতক পড়ছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে।