নিজ দেশ ও গারো সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করতে চাই: রিছিল

আইডিএলসি-প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অদ্বিতীয়া’ শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী খ্রীস্টিনা কান্তা রিছিল।

ময়মনসিংহের গারো সম্প্রদায়ের মেয়ে খ্রীস্টিনা কান্তা রিছিল। তিনি ২০১৮ সালে আইডিএলসি-প্রথম আলো ট্রাস্টের ‘অদ্বিতীয়া’ শিক্ষাবৃত্তি পান। সম্প্রতি চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন তিনি। এখন একটাই ইচ্ছা তাঁর, বৃত্তি নিয়ে দেশের বাইরে থেকে জনস্বাস্থ্যে স্নাতকোত্তর করার।

খ্রীস্টিনা কান্তা রিছিল তাঁর পরিবারে গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পড়া প্রথম নারী। পরিবারের প্রথম তো বটেই, এমনকি স্নাতক পর্যায়ে পড়া গারো সম্প্রদায়ের মেয়ে হিসেবে এইউডব্লিউতেও প্রথম তিনি। ময়মনসিংহ থেকে এইউডব্লিউর পথচলা বলতে গিয়ে খ্রীস্টিনা জানান, ‘আমার জন্ম বেড়ে ওঠা ময়মনসিংহে। স্কুল, কলেজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়—এভাবে এগিয়ে যাই। ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামে যখন যাই তখন কিছুটা ভয় ছিল। এত দূরে, কীভাবে থাকব, কি করব! কারণ ঘর থেকে কখনো বের হইনি। সেই আমি প্রথম নিজ এলাকা থেকে এত দূরে পড়ছে যাওয়া কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে সাহসটা ছিল আমার। আর বাবা এ ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।’

আরও যুক্ত করে খ্রীস্টিনা বলেন, ‘আমার বাবার আর্থিক অবস্থা যেহেতু ভালো ছিল না, তাই প্রাইভেটে পড়ার কোনো চিন্তা মাথায় আসেনি। সে জন্য প্রথমে আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা করত না। সে জন্য একটা সুযোগ খুঁজছিলাম। এমন সময় জানাত পারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) কথা। পরে নিয়ম মেনে আবেদন করি, পরীক্ষা দিই এবং বৃত্তি নিয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যাই। ভর্তির পর ‘অদ্বিতীয়া’ শিক্ষাবৃত্তি আমার চলার পথ সুগম করে দেয়। স্নাতক শেষ করেছি। এখন দেশের বাইরে থেকে জনস্বাস্থ্যে স্নাতকোত্তর করে নিজ দেশ ও গারো সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করতে চাই।’