ঋণ করে বিউটিকে স্কুলে পড়িয়েছেন বাবা

২০২২ সালে বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০ জন অদ্বিতীয়ার মধ্যে অন্যতম বিউটি সরকার।
ছবি: সৌরভ দাশ

দরিদ্রতম পরিবারের প্রথম মেয়েসন্তান, যাঁরা নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পৌঁছান, তাঁদের অনুপ্রাণিত করতে দেওয়া হয় আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি। চট্টগ্রাম অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়। ট্রান্সকম গ্রুপের সহযোগিতায় ৪২ জন এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহযোগিতায় ৫৬ জনসহ মোট ৯৮ জন এই বৃত্তি পেয়েছেন। ২০২২ সালে বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০ জন অদ্বিতীয়ার মধ্যে অন্যতম বিউটি সরকার।

দুই ভাইবোনের মধ্যে বিউটি সরকার বড়। মা গৃহিণী, বাবা গ্রামের বাজারে স্বর্ণকারের কাজ করেন। বিউটি বলেন, ‘যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। একসময় যখন আলাদা থাকা শুরু করলাম, তখন পড়লাম আর্থিক অনটনে। বাবার দোকান যেহেতু গ্রামে, তাই খুব একটা আয় নেই। ছোটবেলায় নিজে পড়ালেখার সুযোগ পাননি বলে সাধ্যমতো আমাদের পড়ানোর চেষ্টা করেছেন বাবা। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমাকে ভারতেশ্বরী হোমসে ভর্তি করেন। সেখানকার পড়ালেখা বেশ ব্যয়বহুল। এইচএসসি শেষ হওয়ার পর একপ্রকার বাধ্য হয়েই তিনি আমাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু আমার পড়ার ইচ্ছা ছিল প্রবল। এইউডব্লিউতে ভর্তি হতে পারা আমার জীবনের বড় অর্জন।’

অদ্বিতীয়া শিক্ষাবৃত্তি বিউটিকে সাহস জুগিয়েছে। সমাজের অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর এবং বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন তিনি।