মৌলভীবাজারের কেজুরীছড়া চা বাগানে মেয়ে ঈশিতা গোয়ালা। অনেক বাধা অতিক্রম করে আজ স্নাতক পর্যায়ে এসেছেন। পরিবারের প্রথম মেয়ে হিসেবে স্নাতক পড়ছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে। তাঁর এই এগিয়ে চলার গল্প শোনালেন তিনি।
ঈশিতা গোয়ালা জানালেন, ‘সিলেটের ছোট্ট কেজুরীছড়া চা বাগান থেকে আমার উঠে আসা। মা-বাবা-দাদী- ২ ছোট বোন, ভাইকে নিয়ে আমাদের ৭ জনের সংসার চলেছে বাবার ১২০ টাকা মজুরিতে। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে মজুরি বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছে। অথচ আমার কলেজে যাওয়া-আসার খরচই ছিল ১০০ টাকা। বাবার স্বল্প আয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। আমি তাই সেলাইয়ের কাজ শিখেছি। কলেজে পড়ার সময় সেলাইয়ের কাজ করে যা আয় হতো, তা দিয়েই চলত। তবু প্রতিদিন কলেজে যাওয়া হতো না। এইউডব্লিউতে পড়ার সুযোগ পেয়ে বাবাকে কিছুটা হলেও নির্ভার করতে পেরেছি। আমার ছোট দুই বোন এখনো পড়ালেখা করছে। আমাদের আরও অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।’