‘ডিসিশন নেওয়ার সময় আমাকে ডাকে, এটা আমাকে অনেক গর্বিত করে’

সিনথিয়া আরেফীন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মেয়ে সিনথিয়া আরেফীন। ২০১৬ সালে পেয়েছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) এবং প্রথম আলো ‘ফার্স্ট ফিমেল ইন দ্য ফ্যামিলি স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’। শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে। ২০২০ সালে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড বায়োইনফরমেটিক্স বিষয়ে স্নাতক শেষ করেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

স্নাতক পড়তে পড়তে আগ্রহ জম্নে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য এনার্জি নিয়ে কাজ করার। ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবেন এটা কখনো যেমন ভাবেননি, পরিবেশ নিয়ে কাজ করবেন এটাও তাঁর ভাবনাতে ছিল না। এইউডব্লিউ'তে বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কোর্স করে প্রায় সব ধরনের বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি যেহেতু বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ছিলেন, তাই পাবলিক হেলথ বা পরিবেশ বিজ্ঞান তাঁকে বেশি টানছিলো। এই দুটোর মধ্যে বেশি ভালো লাগত পরিবেশ বিজ্ঞান। এভাবে ক্লাস লেকচার, প্রফেসরদের পড়ানো সব মিলিয় পরিবেশ বিজ্ঞানের প্রেমে পড়ে যান তিনি।

আমি আমার বাড়ির প্রথম স্নাতক সম্পন্নকারী নারী হিসেবে নয় বরং একজন মানুষ হিসেবে আমার যে পরিবর্তনগুলো হয়েছে সেটাকে পরিবারের মানুষ নোটিশ করেন- এটাই আমার প্রাপ্তি।

সিনথিয়া জানালেন, ‘জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য এনার্জি ও হাইড্রো-এনার্জির কথা যদি বলি, আমার ভুটানের সহপাঠী ক্লাসে তার দেশের এনার্জি সেক্টর নিয়ে যখন কথা বলতেন তখন দেখতাম ভুটান নবায়নযোগ্য হাইড্রো-এনার্জিতে অনেক এগিয়ে আছে। সুতরাং বাংলাদেশেও তা আরও হতে পারে। যেমন কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখান থেকেও নবায়নযোগ্য এনার্জির ওপর আগ্রহ তৈরি হয়।’

বর্তমান অদ্বিতীয়াদের জন্য পরামর্শও দেন তিনি। সিনথিয়া বলেন, ‘এইউডব্লিউ খুবই ওয়েলকামিং একটা জায়গা। এখানে প্রচুর ‍রিসোর্স আছে। এগুলো ব্যবহার করে নিজেকে দক্ষ করতে হবে। কখনো হতাশ হওয়া যাবে না। যদি কখনো কোন বিষয়ে খটকা লাগে, সিনিয়র থেকে শুরু করে প্রফেসরের কাছে বলতে হবে। দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে। এখানে সবাই অনেক আন্তরিক।’

সিনথিয়া আরেফীন

বাবা-মার অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে সিনথিয়া বলেন, ‘আমি আমার বাড়ির প্রথম স্নাতক সম্পন্নকারী নারী হিসেবে নয় বরং একজন মানুষ হিসেবে আমার যে পরিবর্তনগুলো হয়েছে সেটাকে তাঁরা নোটিশ করেন। বাড়ির কোনো বিষয়ে ডিসিশন নেওয়ার সময় আমাকে ডাকে, এটা আমাকে অনেক গর্বিত করে।’