স্বপ্নজয়ের সারথি ‘অদ্বিতীয়া’ শিক্ষাবৃত্তি

২০২২ সালে আইডিএলসি ও প্রথম আলো ট্রাস্টের অদ্বিতীয়া বৃত্তি পেয়েছেন এই ১০ শিক্ষার্থী।
ছবি: সৌরভ দাশ

সমাজের অনগ্রসর, পিছিয়ে পড়া ও দুর্দশাগ্রস্ত বিভিন্ন মানুষের পাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। এরই ধারাবাহিকতায় নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। আর এই উদ্যোগে সহযোগী হয়েছে ট্রান্সকম গ্রুপ, আইডিএলসি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন।

২০১২ সাল থেকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এবং প্রথম আলো ‘ফার্স্ট ফিমেল ইন দ্য ফ্যামিলি স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ নামে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান শুরু করে। প্রতিবছর পরিবারের প্রথম মেয়েসন্তান অথচ দরিদ্র, যিনি উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজ গঠনে আগ্রহী, এ রকম ১০ জনকে ট্রান্সকম গ্রুপের সহায়তায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে এ শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। ট্রান্সকমের সহায়তায় ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪২ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছেন।ছবি সৌরভ দাশ

আইডিএলসি-প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তিপ্রাপ্ত ‘অদ্বিতীয়া’ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথিরা। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম নগরের গোলপাহাড় এলাকায় অবস্থিত এইউডব্লিউ মিলনায়তনে।
ছবি: সৌরভ দাশ

পরবর্তীতে, ২০১৭ সাল থেকে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এই শিক্ষাবৃত্তির দায়িত্ব নেয়। নামকরণ করা হয় ‘অদ্বিতীয়া’ নামে। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহায়তায় ৫৬ জনসহ ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৯৮ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছেন। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনও তাঁদের আবাসন, টিউশন ফি সুবিধাসহ নানা সুযোগ দেয়।

অদ্বিতীয়া সংবর্ধনা ২০২০’ অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে ১০ শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লেবার হাউস অডিটরিয়ামে।
ছবি: শিমুল তরফদার।

অদ্বিতীয়া শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পের প্রসার সারা বিশ্বজুড়ে বিরাজমান। কারণ অদ্বিতীয়া শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে। কেউ আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি করছেন, কেউ বিদেশে  উচ্চতর পড়াশোনা করছেন। কেউবা আবার সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত আছেন। যেমন সিনথিয়া খন্দকার ঊর্মি প্যারিসে একটি বেসরকারি সংস্থা ‘দ্য ইউনিয়ন অব বিজনেস ইনকিউবেটরস’এ প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন, তামান্না ইয়াসমিন বৃষ্টি কাজ করছেন জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসে অ্যাডমিন অ্যাসিস্ট্যান্ট (বিজনেস সাপোর্ট) হিসেবে, নুসরাত সুমাইয়া কর্মরত আছেন ইউনিসেফে, ইশরাত জাহান এপিডেমিওলজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালযয়ে।

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ হলো সবচেয়ে বেশি টেকসই। কারণ একজন শিক্ষিত লোক তার পরিবার, সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে। এই প্রকল্পের শিক্ষার্থীরাও তাই। তাঁরা সফল হচ্ছেন, নিজের পরিবারকে করছেন স্বাবলম্বী। সমাজে তথা দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছেন। এক কথায় নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে এই প্রকল্প।