‘কখনো নিজের ওপর আস্থা হারানো যাবে না’

ইউডব্লিউ এবং প্রথম আলো ‘ফার্স্ট ফিমেল ইন দ্য ফ্যামিলি স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দিলুফা তুজ জেরিন।

দিলুফা তুজ জেরিন ২০১৫ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) এবং প্রথম আলো ‘ফার্স্ট ফিমেল ইন দ্য ফ্যামিলি স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পান। শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করেন চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে। ২০১৯ সালে স্নাতক শেষ করেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ওই বছরই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। পাবলিক হেলথ সেক্টরে একজন বিশেষজ্ঞ হতে চান জেরিন।

পাবলিক হেলথ নিয়ে আগ্রহের কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল পাবলিক হেলথ সেক্টরে কাজ করব। তবে সেটা যে রিসার্চ সেক্টরের মাধ্যমে হবে তা ভাবিনি। আমার গ্র্যাজুয়েশন শুরু করার পরে যখন মেজর সাবজেক্ট হিসেবে পাবলিক হেলথ নিয়েছি তখন থেকেই ছোট ছোট স্বপ্নগুলো বড় হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করি ২০১৯ সালে। এরপরই রিসার্চ সেক্টরে কাজ শুরু করি। ভবিষ্যতে এই সেক্টরে আমার আবস্থান আরও ভালো করব।’

কখনো নিজের ওপর আস্থা হারানো যাবে না। সব বাধা বিপত্তিতে সাহস রাখতে হবে

জেরিন এখন কি স্বপ্ন দেখে জানাতে চাইলে জানান, ‘আমার একটা ইচ্ছা ছিল স্নাতক শেষ করে এমন একটা কাজে যোগ দেব যেখানে নিজের কর্মদক্ষতা যাচাই করতে পারব, ফোকাস করতে পারব। এখন আমি আরবান হেলথ নিয়ে কাজ করি। আপাতত স্বপ্ন হলো, পাবলিক হেলথে মাস্টার্স করার জন্য দেশের বাইরে যাব। সুযোগ পেলে পিএইচডি অর্জন করব।

এইউডব্লিউতে পড়াশোনার নানা বিষয় সম্পর্কেও বলেন জেরিন। তিনি বলেন, ‘এইউডব্লিউতে একটা সুবিধা হলো, এখানে সকল শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার পাশাপাশি জব করতে হয়। কেউ টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, কেউ ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে। ফলে সবার মধ্যে এক ধরনের প্রোফেশনালিজম তৈরি হয়। এটা কর্মক্ষেত্রে কাজে দেয়।’

নতুন অদ্বিতীয়াদের পরামর্শ দিয়ে জেরিন বলেন, কখনো নিজের ওপর আস্থা হারানো যাবে না। সব বাধা বিপত্তিতে সাহস রাখতে হবে। সব শেষে জেরিন তাঁর পড়াশোনার পথকে মসৃণ করার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টকে কৃতজ্ঞতা জানান।